ক্যাপসিকাম ও মরিচ

Capsicum


জলসেচন
অন্তর্বর্তী

চাষ
অন্যত্র রোপিত

ফসল কাটা
90 - 150 দিন

শ্রম
অন্তর্বর্তী

সূর্যালোক
পুরো সূর্য

pH মান
5.5 - 7

তাপমাত্রা
21°C - 29°C

জৈব সার প্রয়োগ
অন্তর্বর্তী


ক্যাপসিকাম ও মরিচ

পরিচিতি

মরিচ বা ক্যাপসিকাম নাইটশেড পরিবারের একটি ফুলেল উদ্ভিদ। এর উৎপত্তি স্থল আমেরিকা (৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মেক্সিকোতে এর চাষবাদের ইতিহাস পাওয়া যায় ) এবং ১৬ শতকের পরে পুরো বিশ্বে পরিচিতি লাভ করে। সব মরিচের ৫০% আজ চীনে উৎপন্ন হয়, তারপরে রয়েছে মেক্সিকো, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং স্পেন।

গাইড

যত্ন

যত্ন

জল নিষ্কাশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মাটির ধরনের উপর নির্ভর করে চারা উত্তোলনের জন্য উঁচুতে বীজতলার প্রয়োজন হতে পারে। শরতে গভীর চাষ দিয়ে জমি প্রস্তুত করতে হবে। সাধারণত বীজতলায় মরিচের চারা উত্তোলন করা হয় এবং তুষাপাতের ঝুঁকি কেটে গেলে মূল জমিতে চারা রোপণ করা হয়। ভাল নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করেও মূল জমিতে রোপন করা যেতে পারে কারণ এতে চারার বৃদ্ধি ভালো হয় এবং রোগমুক্ত চারা পাওয়া যায়। বায়ু প্রবাহজনিত ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে বায়ু প্রবাহরোধী গাছ যেমন রাইকর্ণ বা সুইটকর্ণএর সারি করে লাগাতে হবে। চারা রোপণের কমপক্ষে চার সপ্তাহ আগে জমিতে গোবর সার বা কম্পোস্ট প্রয়োগ করতে হবে।

মাটি

ক্যাপসিকাম অনেক ধরনের মাটিতে চাষ করা যায় তবে গভীর, দোআঁশ এবং উত্তম জল নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত মাটি সবচেয়ে ভাল।মাটির অম্লত্ব ৫.৫ - ৭.০ এর মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয়। মরিচ ১ মিটার গভীরতায় পর্যন্ত এর শিকড় প্রসারিত করতে পারে। একটি সরল ঢাল থাকলে জল নিষ্কাশনের জন্য সুবিধে হয় কিন্তু তা অপরিহার্য নয়। জমির মধ্যে নিচু স্থান জলাবদ্ধতার ফলে বন্যা কবলিত হতে পারে।

জলবায়ু

মরিচের জন্য আদর্শ আবহাওয়া হলো রোদের আলো পড়ে এমন বেলে দোআঁশ মাটি, জলাবদ্ধতা কম হয় এবং ২১ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উপযুক্ত। আর্দ্রতা বেশি হলে বীজ গজানোর হার হ্রাস পায় এবং চারা নেতিয়ে পড়ে। মরিচ গাছ সর্বনিন্ম ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে (কিন্তু পছন্দ করে না) এবং তাই ইহা শীত সংবেদনশীল। মরিচের ফুল ধারন ক্ষমতা দিনের দৈর্ঘ্যের সাথে খুব সম্পর্কিত। ফুলে সর্বদা স্ব-পরাগায়ন ঘটে।যা’হোক, অতি উচ্চ তাপমাত্রায় (৩৩ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পরাগরেণু কার্যকারিতা হারায় এবং ফুলের সফল পরাগায়নের কার্যকারিতা কমে যায়।

সম্ভাব্য রোগ

ক্যাপসিকাম ও মরিচ

এই ফসলকে কিভাবে ফলাতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্ল্যান্টিক্স-এ পান


ক্যাপসিকাম ও মরিচ

Capsicum

ক্যাপসিকাম ও মরিচ

সুস্থ ফসল ফলান আর প্ল্যান্টিক্স অ্যাপসের সহায়তায় বেশী ফসল উৎপাদন করুন!

পরিচিতি

মরিচ বা ক্যাপসিকাম নাইটশেড পরিবারের একটি ফুলেল উদ্ভিদ। এর উৎপত্তি স্থল আমেরিকা (৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মেক্সিকোতে এর চাষবাদের ইতিহাস পাওয়া যায় ) এবং ১৬ শতকের পরে পুরো বিশ্বে পরিচিতি লাভ করে। সব মরিচের ৫০% আজ চীনে উৎপন্ন হয়, তারপরে রয়েছে মেক্সিকো, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং স্পেন।

মূল তথ্য

জলসেচন
অন্তর্বর্তী

চাষ
অন্যত্র রোপিত

ফসল কাটা
90 - 150 দিন

শ্রম
অন্তর্বর্তী

সূর্যালোক
পুরো সূর্য

pH মান
5.5 - 7

তাপমাত্রা
21°C - 29°C

জৈব সার প্রয়োগ
অন্তর্বর্তী

ক্যাপসিকাম ও মরিচ

এই ফসলকে কিভাবে ফলাতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্ল্যান্টিক্স-এ পান

গাইড

যত্ন

যত্ন

জল নিষ্কাশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মাটির ধরনের উপর নির্ভর করে চারা উত্তোলনের জন্য উঁচুতে বীজতলার প্রয়োজন হতে পারে। শরতে গভীর চাষ দিয়ে জমি প্রস্তুত করতে হবে। সাধারণত বীজতলায় মরিচের চারা উত্তোলন করা হয় এবং তুষাপাতের ঝুঁকি কেটে গেলে মূল জমিতে চারা রোপণ করা হয়। ভাল নার্সারি থেকে চারা সংগ্রহ করেও মূল জমিতে রোপন করা যেতে পারে কারণ এতে চারার বৃদ্ধি ভালো হয় এবং রোগমুক্ত চারা পাওয়া যায়। বায়ু প্রবাহজনিত ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে বায়ু প্রবাহরোধী গাছ যেমন রাইকর্ণ বা সুইটকর্ণএর সারি করে লাগাতে হবে। চারা রোপণের কমপক্ষে চার সপ্তাহ আগে জমিতে গোবর সার বা কম্পোস্ট প্রয়োগ করতে হবে।

মাটি

ক্যাপসিকাম অনেক ধরনের মাটিতে চাষ করা যায় তবে গভীর, দোআঁশ এবং উত্তম জল নিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত মাটি সবচেয়ে ভাল।মাটির অম্লত্ব ৫.৫ - ৭.০ এর মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয়। মরিচ ১ মিটার গভীরতায় পর্যন্ত এর শিকড় প্রসারিত করতে পারে। একটি সরল ঢাল থাকলে জল নিষ্কাশনের জন্য সুবিধে হয় কিন্তু তা অপরিহার্য নয়। জমির মধ্যে নিচু স্থান জলাবদ্ধতার ফলে বন্যা কবলিত হতে পারে।

জলবায়ু

মরিচের জন্য আদর্শ আবহাওয়া হলো রোদের আলো পড়ে এমন বেলে দোআঁশ মাটি, জলাবদ্ধতা কম হয় এবং ২১ থেকে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উপযুক্ত। আর্দ্রতা বেশি হলে বীজ গজানোর হার হ্রাস পায় এবং চারা নেতিয়ে পড়ে। মরিচ গাছ সর্বনিন্ম ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে (কিন্তু পছন্দ করে না) এবং তাই ইহা শীত সংবেদনশীল। মরিচের ফুল ধারন ক্ষমতা দিনের দৈর্ঘ্যের সাথে খুব সম্পর্কিত। ফুলে সর্বদা স্ব-পরাগায়ন ঘটে।যা’হোক, অতি উচ্চ তাপমাত্রায় (৩৩ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পরাগরেণু কার্যকারিতা হারায় এবং ফুলের সফল পরাগায়নের কার্যকারিতা কমে যায়।

সম্ভাব্য রোগ