Wind Damage on Cucumber
অন্যান্য
ঝড়ে আক্রান্ত লক্ষণ প্রায়ই ব্যাপক খরা আক্রান্ত ক্ষতির মতো মনে হয়। সদ্য বোনা বীজ মাটি থেকে সরে যেতে পারে, বা মাটির অন্যান্য উপাদান দ্বারা ঢেকে যেতে পারে । অল্প বয়স্ক চারা গাছ বালু কনার প্রতি ভীষণ সংবেদনশীল এবং বালুকণা ( কাঁকড় ) ঘর্ষণের ফলে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়। বড় গাছে এবং ঝোপালো গাছে ঘর্ষণ বেশি লাগে, ফলে লাল-বাদামি থেকে কালো রঙের দাগ পড়ে। বড় পাতার গাছে পাতায় ডোরাকাটা দাগ বেশি পড়ে। ছোট পাতার গাছে পাতায় ভাজ পড়ে এবং ছিঁড়ে যায়। গাছের গোটা অংশে বা অংশ বিশেষে বৃদ্ধির স্থবিরতা দেখা দিতে পারে । ঝড়ে আক্রান্ত গাছ খর্বাকৃতির হয়, মোট পাতার পরিমান কমে যায় এবং শাখা প্রশাখা নিম্নগামী হয়ে বাড়ে। মরশুমের শেষ দিকে, ফুল ঝরে যায়, ফলে আঁচড়ের দাগ পড়ে এবং ক্ষত সৃষ্টি হয়। ব্রণ আকারের ক্ষতযুক্ত ঘষা লাগা ফল বাজারজাত করা যায় না। কম ফুলের কারণে ফসল কম হয় এবং ফলের গুণমানও কম হয়।
ঝড়ের আক্রমণে সৃষ্ট রোগ দমনে কোন জৈবিক ব্যবস্থা নেই। প্রতিরোধক ব্যবস্থা হিসেবে প্রবল বায়ুপ্রবাহ রোধক নির্মাণ করুন যা ক্ষতি হ্রাস করবে।
সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন । এছাড়াও সম্ভাব্য ব্যবস্থাপনা ফসলের বৃদ্ধি পর্যায়ের উপর নির্ভর করবে। গুরুতর সমস্যার ক্ষেত্রে, ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ প্রতিরোধে মনোযোগ দিন, উদাহরণস্বরূপ, ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের অংশ কেটে পরিষ্কার করুন এবং ছত্রাকনাশক বা ব্যাকটেরিয়ানাশক প্রয়োগ করুন।
বাতাসের কারনে উপসর্গ সৃষ্ট হয়, এবং শক্তিশালী, ধারাবাহিক বায়ু প্রবাহ চললে এবং বায়ু প্রবাহের পথে বাধা সৃষ্টি না করলে বিশেষ সমস্যা হয়। মাটির কণা দলা বেঁধে যায় বা শাখার নড়াচড়ার কারণে ক্ষতি সাধিত হয়। বাতাসের গতি, রোগ সংক্রমণের সময় এবং ফসলের বৃদ্ধি পর্যায়ের উপর উপসর্গের তীব্রতা নির্ভর করে। বালুকাময় মাটিতে শশা চাষ করলে বালির ঘর্ষণ এবং আঘাত জনিত কারণে চারা এ সমস্যার প্রতি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। শাখার নড়াচড়ার কারণে পাতা এবং ফলের পৃষ্ঠতল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত কোষ কলায় ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক আক্রমণ করে পচিয়ে ফেলে। ফসলের সুস্থতা, গাছের বৃদ্ধি পর্যায়, মাটির আর্দ্রতা এবং সেই সাথে আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে।