Herbicides Photosynthesis Inhibitors
অন্যান্য
উপসর্গগুলোর বিস্তার প্রয়োগকৃত আগাছানাশকের ধরন, প্রয়োগের সময় এবং প্রয়োগমাত্রার উপর নির্ভর করে থাকে। কচি পাতার তুলনায় বয়স্ক পাতা আরও বেশি সংক্রামিত হয়। শিরার মধ্যবর্তী অংশ হলুদাভ এবং পাতা মড়মড়ে হয়ে যায়, শিরাগুলোর মধ্যকার কোষকলা ক্রমশঃ হলুদাভ হয়ে যায়। পাতার প্রান্তদেশ হলুদ এবং পরবর্তীতে উপরের দিকে বেঁকে যায়। পূর্ণ সূর্যালোকে ( পাতা কাগজের ব্যাগের অনুরূপ দেখায়) অধিকতর খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়, উদাহরণস্বরূপ পাতা ক্রমশঃ শুকিয়ে যেতে থাকে এবং দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে ঝরে পড়তে পারে। পাতায় দ্রুত এবং ক্ষতিকারক ক্রিয়ার কারণে আগাছানাশককে “বিরঞ্জক” হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এ অবস্থার জন্য কোন জৈবিক দমন ব্যবস্থা নেই। প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং উপযুক্ত চাষ পদ্ধতি ফসলের সম্ভাব্য ক্ষতি পরিহারের প্রধান চাবিকাঠি।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। আগাছানাশক ব্যবহারের আগে আপনি কোন ধরনের আগাছার (বড় পাতাযুক্ত আগাছা নাকি ঘাস জাতীয় আগাছা) জন্য আগাছানাশক ব্যবহার করছেন সে সম্পর্কে আগে নিশ্চিত হন এবং এর জন্য অন্য কোন ভালো ব্যবস্থা না থাকলেই কেবল এ আগাছানাশক ব্যবহার করুন। সতর্কতার সাথে আগাছানাশক নির্বাচন করুন এবং ভালোভাবে নির্দেশনা পড়ুন এবং নির্দেশ অনুপাতে আগাছানাশক ব্যবহার করুন।
সাধারনত পিএস২ নিবারকভুক্ত আগাছানাশক দ্বারা উদ্ভিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, যেমন এট্রাজিন, ব্রোমক্সিনিল, ডায়ুরন এবং ফ্লোমেটিউরনও উল্লেখযোগ্য। আগাছানাশক সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াকে অবরুদ্ধ করে এবং কোষকলায় উপস্থিত সবুজ রঞ্জক পদার্থসমুহ বিনষ্ট করে, এতে পাতার বিবর্ণতা বাড়ে। অঙ্কুরোদগমের পূর্বে প্রয়োগকৃত আগাছানাশক গাছের শিকড় দ্বারা শোষিত হয় এবং জল সঞ্চালনের পথ অনুসরণ করে উপরের অংশ পর্যন্ত চলে আসে। অবশেষে বিষক্রিয়া পাতা, বিশেষ করে পাতার প্রান্তীয়দেশে পুঞ্জীভূত হয়। অঙ্কুরোদগমের পরবর্তী সময়ে প্রয়োগকৃত আগাছানাশক গাছের কোষকলাকে ক্ষতি করে এবং উদ্ভিদের অন্যান্য অংশে বাহিত হয় না। বিভিন্ন প্রকার আগাছা (যেমন ঘাস, সরিষা, বিছুটি পাতা, বুনো মূলো প্রভৃতি ) আগাছানাশকের প্রতি প্রতিরোধী হয়ে উঠায় এ সমস্যা সর্বত্র দেখা যায়।