ডালিম

ফলের ফাটল রোগ

Physiological Disorder

অন্যান্য

সংক্ষেপে

  • ঠান্ডা জনিত আঘাত, রাইন্ড স্ট্রেইনিং, গ্রানুলেশন, তুলার মত এবং ফলের গায়ে ফাটল দেখা যায়।
  • ফাটল তিনটি বিভিন্ন ধরণের হয়: গোলাকার, চিকন বা গভীর ফাটল।

এখানেও পাওয়া যেতে পারে

7 বিবিধ ফসল

ডালিম

উপসর্গ

ফলের গায়ে বৃত্তাকার ফাটল কেন্দ্রের দিকে কাণ্ডের মূল অংশ থেকে ফলের কেন্দ্রে বিকাশ লাভ করে। ফল সূর্যের বিকিরণে রোগাক্রান্ত হতে পারে। ফলের মধ্যে সমকেন্দ্রিক বলয় দেখা দিলে ফাটল ধরে। ফল ফাটল দ্বারা ধীরে ধীরে আক্রান্ত হয়, এবং এটি তিন ধাপে সঞ্চালিত হয়: ফলের ফাটল প্রাথমিক, মাঝারি এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে হয়ে থাকে। ফলের ফাটল প্রাথমিক পর্যায়ে ফলের পৃষ্ঠ এবং ত্বকের উপর একটি বাদামী রেখা প্রদর্শিত করতে শুরু করে। তারপরে, একটি ফাটল দৃশ্যমান হয়, এবং তৈলগ্রন্থি বিকৃত হওয়া শুরু করে। তেলের গ্রন্থি মারাত্মক ভাবে ফেটে যায় যার কারণে ফলের পৃষ্ঠের কোষকলা এবং কোষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভাঙা আলবেডোর কোষগুলির মধ্যে একটি বৃহত্তর ফাঁকা স্থান তৈরি হয়।

সুপারিশমালা

জৈব নিয়ন্ত্রণ

ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গুরুতর সময়কালে এবং এর আগে অতিরিক্ত মনোযোগ দিয়ে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির পরিমান হ্রাস করুন। গাছে পর্যাপ্ত জল এবং পুষ্টি সরবরাহ করতে হবে। মাটির অবস্থা উন্নত করতে কাদামাটি এবং কম্পোস্ট যুক্ত করুন। হঠাৎ করে সার বেশি দিলে ফল ফাটতে পারে এবং ধীরে ধীরে গাছের খাবার বা কম্পোস্ট ব্যবহার করুন যাতে হঠাৎ পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি বন্ধ হয়। মাটিতে মালচ্‌ ব্যবহার করে মাটির আর্দ্রতা ধরে রেখে বাষ্পীভবন হ্রাস করুন।

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ

সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। ফলের ফাটল কমিয়ে আনার জন্য ক্যালসিয়াম যৌগ বা ১২০পিপিএম মাত্রার জিএ৩ অপরিপক্ক ফলের উপর স্প্রে করুন। পটাসিয়াম সার, ক্যালসিয়াম সার এবং বোরন সারের স্প্রে করে ফলের ফাটল উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারেন। ফলের দ্রুত বিকাশের সময় ফলের খোসার বিকাশের জন্য, খোসার ঘনত্ব বাড়ানো, ফলের ফাটল প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানো এবং ফসল কাটার আগে ফাটল হ্রাস করার জন্য পটাসিয়াম প্রয়োগ করুন।

এটা কি কারণে হয়েছে

তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং স্থানান্তরের প্রতিকূল পরিবেশগত অবস্থার কারণে ফসল কাটার পরের সমস্যা বিকশিত হতে পারে, অন্যদিকে ফসল কাটার পূর্বের কারণ যেমন, বোরন, তামা এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো অনুখাদ্যের ঘাটতির কারণেও হতে পারে। ফলের আকার এবং আকৃতি সূচক মানের উপর ভিত্তি করেও ফল ফেটে যেতে পারে, যেমন লেবু জাতীয় ফলে এমন প্রভাব ফেলে। বড় আকারের ফলে এ ধরনের ফাটল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। লেবু জাতীয় ফলের খোসায় মলিনতা ও ফলের ফাটলের উপর রুটস্টকের পরোক্ষ প্রভাব রয়েছে। সূর্যালোক- সম্পাতের দৈনিক অবস্থান্তর ফলের গায়ে অমসৃণতা তৈরির হারের সাথে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কিত। ফলের দৈনিক ফাটলের হার আলোর তীব্রতার মানের সাথে ইতিবাচকভাবে সম্পর্কিত। শারীরবৃত্তীয় ফল ঝরে যাওয়ার সময়ের আগে উচ্চ গড় আপেক্ষিক আর্দ্রতা ফাটলের প্রকোপ বাড়িয়ে তোলে। অপ্রতুল পুষ্টি আংশিক খোসা তৈরিতে এবং বিপাক প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটায়। সুতরাং, বাহ্যিক প্রতিকূল পরিবেশের উদ্দীপনা ফলের গায়ে দাগ এবং ফাটল সৃষ্টির জন্য দায়ী।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • বার বার জলসেচের পরিমাণ বাড়িয়ে চরম আর্দ্রতা এড়িয়ে চলুন।
  • উচ্চমানের ফল এবং ফলন পেতে দৃশ্যমান লক্ষণ সনাক্ত হওয়ার আগেই অনুখাদ্যের ঘাটতি সনাক্ত করা উচিৎ।

প্ল্যান্টিক্স অ্যাপসকে ডাউনলোড করুন