Abiotic Sunburn
অন্যান্য
সরাসরি সূর্যালোক এবং উচ্চ তাপমাত্রা এ রোগের জন্য দায়ী যা গাছ, ঝোপ বা বৃক্ষের ক্ষতি সাধন করে। এ রোগ উদ্ভিদ টিস্যুতে আর্দ্রতার পরিবর্তন করে, যার ফলে প্রাথমিকভাবে কচি পাতা নেতিয়ে পড়ে। পাতা ধীরে ধীরে ফ্যাকাশে রঙে রূপান্তরিত হয় এবং ২-৩ দিন পরে চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে। পাতার শীর্ষ এবং কিনারায় ক্ষত দেখা যায়। এ ক্ষতটি পরে পাতার পত্রফলকের মাঝে অগ্রসর হয়। পাতা শুকিয়ে যায় এবং পোকামাকড়ের আক্রমণের কারণে ফল ও বাকলের উপর ঝলসানো দাগ দেখা যায়, যদিও এ ঝলসানো পাতা গাছের সাথে লেগে থাকে। গাছের বাকলে এর আক্রমণের ফলে ফাটল এবং ক্ষতরোগ দেখা দেয় যা শেষ পর্যন্ত গাছের প্রধান কাণ্ডের কোষ কলা মেরে ফেলে।
সাদা কাদামাটি বা ট্যালক্ সংঘটিত উপাদান গাছের পাতা ও প্রধান কাণ্ডের উপর স্প্রে করে সূর্যালোককে বাধা দেওয়া যেতে পারে। এটি তাপমাত্রা ৫-১০ ডিগ্রি কমাতে পারে। ক্যালসিয়াম কার্বোনেট বা ক্রিস্টালাইন লাইমস্টোন সংঘটিত উপাদান ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। কার্নুবা মোম উদ্ভিদের জন্য একটি প্রাকৃতিক সানস্ক্রীন হিসাবে কাজ করে।
সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। সারের সম্পূরক হিসেবে এবসিসিক অ্যাসিড প্রয়োগ করা হয় যাতে আপেলের মতো ফলের ক্ষতি হ্রাস করতে সাহায্য করে এবং অন্যান্য ফসলে কাজ করতে পারে। এন্টি-ট্রান্স্পাইরান্ট পণ্যগুলি যা পলি-১-পি-মেনথেনের উপর ভিত্তি করে প্রস্তুত করা হয় তা প্রয়োগ করে পাতায় জল হারানো হ্রাস করে এবং কিছু গবেষণায় ভাল ফলাফল দেখানো হয়েছে।
সাধারণত অতি সৌর বিকিরণ, উচ্চ তাপমাত্রা এবং স্বল্প আর্দ্রতা বিশিষ্ট এলাকায় জন্মানো গাছে এ রোগের লক্ষণ বেশি দেখা যায়। ভূপৃষ্ঠের উচ্চতাও এ রোগের জন্য দায়ী কারণ উচ্চ অবস্থানে আলট্রাভায়োলেট বিকিরণ বেশি হয়। লক্ষণ গাছের পাতা, ফল এবং বাকলে দেখা যায়। উদ্ভিদের জাত, বৃদ্ধি পর্যায় এবং মাটির আর্দ্রতার উপরও এ রোগের আক্রমণ ও তীব্রতা নির্ভর করে। ফল পাকার সময় বায়ুর উচ্চ তাপমাত্রা এবং সূর্যকিরণের দীর্ঘ সময় স্থায়ী হওয়া এ রোগের আক্রমণ বাড়িয়ে দেয়। আবহাওয়ার ঘটনাসমূহের পরিবর্তনও গুরুত্বপূর্ণ এজন্য যে, ঠাণ্ডা বা হালকা আবহাওয়া হঠাৎ করে গরম, স্নিগ্ধ আবহাওয়া দ্বারা পরিবর্তিত হলে ক্ষতির পরিমান বেড়ে যায়।