Phytotoxicity
অন্যান্য
এ রোগকে উদ্ভিজ্জ বিষক্রিয়াও বলা হয়। মূলতঃ বালাইনাশকের অপব্যবহার ও ভুল ব্যবহারের কারণে ফসলে যে লক্ষণগুলো প্রকাশিত হয়, তার ওপর ভিত্তি করেই এ ধরনের নামকরণ করা হয়েছে। লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে পাতায় দাগ, পচনশীল ফুসকুড়ি, পাতার কিনারা ঝলসে যাওয়া এবং পাতার শীর্ষভাগ পুড়ে যাওয়া। এ লক্ষণগুলোর সাথে রোগাক্রান্ত, পোকার আক্রমণ কিংবা পরিবেশগত অন্যান্য রোগের সাথে ফসলের এ লক্ষণ মিলে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। বাতাসের প্রবাহে বালাইনাশকের দিক পরিবর্তনের ফলে অনাকাঙ্খিত কিংবা সংবেদনশীল গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রয়োগের জন্য অনুপযুক্ত বালাইনাশকের ব্যবহারও উদ্ভিদস্বাস্থ্যে বিষক্রিয়ার লক্ষন দেখা দিতে পারে।
যখন সবজি জাতীয় শস্যে পোকা কিংবা রোগ মারাত্মকভাবে আক্রমণ করে তখন বালাইনাশক প্রয়োগের চেয়ে আক্রান্ত অংশ কেটে ফেলা কিংবা পুনঃরোপণ করাই শ্রেয়। সেই সাথে ভবিষ্যতে এ সমস্যা মোকবিলায় প্রয়োজনীয় পদ্ধতি শিখুন।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। উদ্ভিদস্বাস্থ্যে বিষক্রিয়ার লক্ষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন রাসায়নিক ব্যবস্থা নেই। এ কারণে সম্পূর্ণরূপে বালাইনাশকের ব্যবহার বিধি মেনে চলুন। আক্রমণ মারাত্মক হলে, @ ১০গ্রাম/লি ইউরিয়া অথবা @ ১০ গ্রাম/লি পলিফিড স্প্রে করা যেতে পারে।
যখন ফসলের জন্য প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করে তখন যদি বালাইনাশক প্রয়োগ করা হয় তাহলে এ বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অধিক তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বালাইনাশকের (কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক যেমন সাবান, তৈল, সালফার জাতীয় পদার্থ) দ্বারা ঘটিত ক্ষতির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে ঠান্ডা ও স্যাঁতস্যাতে আবহাওয়ায় কপার জাতীয় ছত্রাকনাশকের বিষক্রিয়া হয়। এজন্য পরিচ্ছন্ন, শুষ্ক, এবং ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হবে। ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে বালাইনাশক প্রয়োগ করা সর্বোত্তম। খরা, পোকামাকড় সৃষ্ট ক্ষত প্রভৃতি জৈবিক চাপের কারণে বালাইনাশকের ক্ষতির সামনে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। গরম, আর্দ্র এবং প্রতিকুল আবহাওয়ায় জমির ভিজে ভাব বজায় থাকে; ফলে অনেক রোগ সহনশীল প্রতিরোধী জাতও সংবেদনশীল হয়ে পড়ে।