Oligonychus spp.
মাকড়
এরা পাতার রস খেয়ে পাতার উপরের অংশে সুস্পষ্ট সাদা দাগ সৃষ্টি করে, যার ফলে পাতা হলুদ বা বাদামী হয়ে শুকিয়ে যায়। তীব্র আক্রমণের ফলে পাতা ধূসর হয়ে শুকিয়ে যায়। মাকড় পত্রফলকের নিচের অংশে হালকা সুতার ন্যায় জাল গঠন করে যা দেখে পাউডারের ন্যায় মনে হয়। এরা পাতার কোষকলা ছিদ্র করে রস খায় ফলে পাতার ক্লোরোফিল নষ্ট হয়ে যায় এবং দূর থেকে পাতাকে হালকা হলুদ বা ধূসর দেখায়।
বিকল্প জৈবিক দমন ব্যবস্থাপনা হিসেবে সিউডোমোনাস ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে (প্রতি ১ কেজি বীজের জন্য ১০ গ্রাম ব্যাকটেরিয়া) বীজ শোধন করুন। ইউরিয়ার সাথে নিমের খৈল মিশিয়ে ছিটিয়ে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। লক্ষণ চিহ্নিত করার পরে জলে দ্রবীভূত সালফার (৩ গ্রাম) স্প্রে করুন।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। স্পিরোমেসিফেনের সংঘটিত উপাদানের মাইটিসাইড ওলিগোনাইসাস অরাইজি দমনে ভালো কাজ করে। যাইহোক, রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা মাকড় আক্রমণের ধরন, খরচ এবং রাসায়নিক উপাদান ব্যবহারের ফলে মাকড়ের উপর কি প্রভাব পড়ে তার উপর নির্ভর করে। সঠিক সময়ে মাকড়নাশক ব্যবহার করুন।
ওলিগোনাইসাস অরাইজি নামক মাকড়, পাতার কোষ রস খাওয়ার মাধ্যমে ক্ষতি সাধন করে।উচ্চ আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা (২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে) এর ক্ষতির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে এর জীবন চক্র সম্পন্ন হতে ৮-১৮ দিন সময় লাগে। এরা বের হওয়ার সাথে সাথে যৌন পরিপূর্ণতা লাভ করে এবং যত দ্রুত সম্ভব মিলন করে। মাকড় পাতার নিচের শিরা ও মধ্যশিরা বরাবর সারিতে একটি করে ডিম পাড়ে। ডিমে ৪ থেকে ৯ দিন তাপ দেওয়া হয়। যে সব আগাছা ধানের জলাবদ্ধ জমিতে জন্মায় তাতে এ মাকড় মারাত্মক আক্রমণ করে যা এদের বিকল্প আবাস হিসেবে কাজ করে। যেহেতু এদের দমন করা কঠিন, তাই জমিতে আগের বছর কোন আক্রমণ হলে পরের বছরও সহজে আক্রমণ করতে পারে।