PLS
অন্যান্য
5 mins to read
ফসলের ধরন, জাত, মরশুম এবং ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে পাতায় দাগ রোগের লক্ষণ বিভিন্ন আকার ও রঙের হয়ে থাকে। কিছু দানা শস্যে হলুদ বা কমলা পিনপ্রিক দাগ দেখা যায় এবং অন্য শস্যের ক্ষেত্রে বাদামী বা লাল বাদামী দাগ দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রে দাগ বড় হয়ে আঙ্গুলের ন্যায় জলসিক্ত দাগে পরিণত হয়। এ ধরনের লক্ষণ দেখে ছত্রাক সংঘটিত রোগ, যেমন রোদে পোড়া দাগ, নেট ঝলসানো এবং সেপটোরিয়ার পাতার দাগ মনে হতে পারে। যাইহোক, এটি যদি শারীরবৃত্তীয় সমস্যা জনিত লক্ষণ হয় তাহলে দাগ সব পাতায় দেখা যায় আর যদি ছত্রাকজনিত লক্ষণ হয় তাহলে সাধারণতঃ পাতার নিচের অংশে দেখা যায়। আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো পাতার সরু কিনারা বা শিরা ছাড়াই পুরো পাতায় এমন দাগ দেখা যায় ( বয়স্ক পাতায় দেখা যায় না তবে ছত্রাকের সাহায্যে হতে পারে)।
গমের শারীরবৃত্তীয়সমস্যাজনিত পাতার দাগ রোগ দমনে কোন জৈবিক দমন ব্যবস্থা প্রচলিত নেই । আপনার কিছু জানা থাকলে অনুগ্রহ করে আমাদের জানান।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। কিছু প্রজাতির ক্ষেত্রে জমির মাটি যদি পটাস প্রয়োগের উপযোগী হয় বা মাটির পিএইচ কম বা নিরপেক্ষ হয় তাহলে পটাসিয়াম প্রয়োগ করে সমস্যা সমাধান করুন। উচ্চ পিএইচ যুক্ত জমিতে পটাস ব্যবহার করলে এর কার্যকারিতা হ্রাস পায়।
গমের শারীরবৃত্তীয় সমস্যাজনিত পাতার দাগ রোগ প্রায়ই শীতকালীন গমে দেখা যায়, তবে অন্য শস্য জাতীয় ফসলেও দেখা যায়। এই ব্যাধি পরিবেশগত কারণে কোষ কলার ক্ষতি্র ফলে সৃষ্ট হতে পারে বলে মনে করা হয়, উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সূর্যালোকের কারণে উপরের পাতার ক্ষতি বা মাটিতে ক্লোরাইডের অভাবে এমনটা হয়। ঠান্ডা, মেঘাচ্ছন্ন এবং ভিজা আবহাওয়ার পরিবর্তে গরম, রৌদ্রোজ্জ্বল অবস্থার ফলে সৃষ্ট চাপের কারণেও এটি বাড়তে পারে। পরাগ বা জল পাতায় জমেও শারীরবৃত্তীয় সমস্যা হতে পারে। এ ধরনের লক্ষণ দেখে ছত্রাক সংঘটিত রোগ, যেমন রোদে পোড়া দাগ, নেট ঝলসানো এবং সেপটোরিয়ার পাতার দাগ মনে হতে পারে। অন্যান্য দিক বিবেচনায় এটি ফলনে তেমন প্রভাব ফেলতে পারে না বলে মনে করা হয়। ছত্রাকনাশক প্রয়োগের আগে এটি শারীরবৃত্তীয় সমস্যা জনিত পাতার দাগ রোগ কিনা তা যাচাই করুন।