Ceratocystis fimbriata
ছত্রাক
প্রাথমিকভাবে, একটি বা কয়েকটি গাছের শাখার পাতা হলুদ হওয়া দেখা দেয়। পরে, এটি পুরো গাছ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং সম্পূর্ণ পত্রমোচন হতে পারে। ডালিমের নেতিয়ে পড়া সাধারণত নিচ থেকে শীর্ষের দিকে অগ্রসর হয় তবে কিছু গাছ একবারে পুরোপুরি নেতিয়ে পড়তে পারে। কাণ্ড উল্লম্বভাবে ফেটে যেতে পারে। শিকড়, কাণ্ডের ছাল এবং নিম্ন শাখার ছালে ফাটল ধরে। এটি বা আক্রান্ত গাছের অংশগুলির ক্রস এবং ভাসকুলার টিস্যুতে ধূসর-বাদামী রেখা দেখা যায়।
ব্যাসিলাস সাবটিলিস মাটিতে প্রয়োগ করে উইল্ট সংক্রমণ হ্রাস করা যায়। ট্রাইকোডার্মা স্পেসিস ও পেসিলোমাইসিস স্পেসিস এর সংমিশ্রিত ২৫ গ্রাম পণ্য ২ কেজি পলিত জৈব সারের সাথে মিশিয়ে ডালিম গাছের কাণ্ডের চারপাশে প্রয়োগ করে এ রোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে। নিম, ক্রাঞ্জ , মহুয়া এবং ক্যাস্টর খৈলের সাথে মিশিয়ে মাটিতে দিলে সি. ফিমব্রিয়েটা কার্যকর ভাবে দমন করা যায়।
সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। সংক্রামিত এবং আশেপাশের সুস্থ উদ্ভিদের চারপাশে বা প্রোপিকোনাজল (০.১%) + বোরিক অ্যাসিড (০.৫%) + ফসফোরিক অ্যাসিড (০.৫%) দ্বারা ভিজিয়ে দেওয়ার সুপারিশ রয়েছে। চারা রোপণের পূর্বে ছত্রাকনাশক (০.২%) দিয়ে মাটি নির্বীজনও নেতিয়ে পড়া রোগ নিয়ন্ত্রণ করে। প্রোপিকোনাজল (0.১৫%) বা ক্লোরপাইরিফোস (0.২৫%) দিয়ে মাটি ভিজিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
ছত্রাকের স্পোরগুলি সংক্রামিত গাছের অংশগুলিতে ১৯০ দিন অবধি এবং মাটিতে কমপক্ষে চার মাস অবধি সক্রিয় মাইসেলিয়াম হিসাবে বেঁচে থাকে। উপরের অংশগুলি ক্ষতের মাধ্যমে সংক্রামিত হয়। শিকড় কোন প্রাথমিক ক্ষতি ছাড়াই সংক্রামিত হতে পারে। স্পোর সংক্রামিত চারা, সেচ ও বৃষ্টির জলে, পোকামাকড় দ্বারা এবং জমিতে সাধারণ কাজের সময় ছড়িয়ে পড়ে। আবাসি ফসলে প্রবেশের পরে মাইসেলিয়াম এবং স্পোরগুলি গাছের ভাসকুলার টিস্যুতে চলে যায়, যার ফলে জাইলেমে লাল-বাদামী বেগুনি বা কালো দাগ হয়ে যায়।