Biomphalaria spp.
অন্যান্য
এ শামুক দ্বারা ধানের ক্ষতির পরিমাণ সীমিত। যা হোক, এ শামুকের মধ্যে কিছু যেমন B. glabrata পরজীবীর মধ্যবর্তী পোষক যা মানুষেরও ক্ষতি করতে পারে, তাই এর যত্ন নেওয়া দরকার কারণ এ শামুক মানুষের চিকিৎসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এরা পরজীবী স্কিসটোসোমিয়াসিস নামক রোগ সৃষ্টি করতে পারে এবং এরা পরজীবীবাহী শামুকের বসবাসকারী স্বাদু জলের (হ্রদ, পুকুর, বাঁধ, জলাভুমি এবং ধানের জমি) সংস্পর্শে আসা মানুষের মাধ্যমে ছড়ায়। এটা প্রধানত সেচের নালা, এবং বন্যার স্রোতের মাধ্যমে ছড়ায়। যা'হোক, নলকূপ ও ঝরনার জলের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য এতে এ শামুকের বসবাস কম। স্থানীয় জনগনের মধ্যে এ রোগের ক্ষতি এড়াতে সুপেয় জল ও স্বাস্থ্যকর পয়োঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা জরুরি।
বায়োফ্যালারিয়ার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পুকুরে মাছের উপস্থিতি (উদাহারনস্বরূপ তেলাপিয়া বা গাপ্পি) খুবই কার্যকর। মাছের পুকুর স্কিসটোসোমিয়াসিসের মধ্যবর্তী পোষক মুক্ত রাখার জন্য ব্যবস্থাপনা খুব কঠিন।
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। প্রাজিকুয়ানটেল নামক যৌগকে মানুষের স্কিসটোসোমিয়াসিস চিকিৎসার প্রাথমিক ধরন বলা হয়। এ ঔষধের একটি একক প্রয়োগ ক্ষতের পরিমাণ ও লক্ষণের আধিক্য কমিয়ে ফেলে, তাই দূষিত জলে কাজ করতে বারণ করা হয়, কারণ এতে পুনরায় সংক্রমণ হতে পারে। রোগ ছড়ানোর এ চক্র ভাঙ্গতে শামুকের নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন।
বায়োফ্যালারিয়া গণের শামুক বাতাসে শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে ধান গাছের ক্ষতি করে। বায়োফ্যালারিয়া গণের সকল প্রজাতি উভলিঙ্গ এবং এরা স্বনিষেক বা পরনিষেকে সক্ষম। এরা বিরতি দিয়ে ৫-৪০ টি গাদায় ডিম পাড়ে । প্রত্যেক গাদা জেলীর মতো দ্রব্য দ্বারা আবৃত থাকে । প্রজাতি ও পরিবেশের অবস্থা অনুযায়ী ৬-৮ দিন পর ডিম ফুটে সদ্যজাত শামুকের জন্ম হয় এবং ৪-৭ সপ্তাহে এরা পরিণত হয়। তাপমাত্রা এবং খাবারের প্রাপ্যতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। এক বছর বয়সী একটি শামুক ১০০০ টি পর্যন্ত ডিম পাড়তে পারে ।