ক্যাপসিকাম ও মরিচ

জোঁক ও শামুক

Gastropoda

অন্যান্য

সংক্ষেপে

  • পাতা, ডাল, ফুল, কন্দ এবং বাল্‌বে ভক্ষণজনিত ক্ষতি লক্ষ্য করা যায়।
  • এরা পাতার উপরিভাগে এবং মাটিতে রূপালী বর্ণের গমনপথের সৃষ্টি করে।
  • কচি চারাগাছকে মেরে ফেলতে পারে।

এখানেও পাওয়া যেতে পারে

32 বিবিধ ফসল
বার্লি
শিম
করলা
বাঁধাকপি
আরো বেশি

ক্যাপসিকাম ও মরিচ

উপসর্গ

শামুক এবং জোঁক সবচেয়ে বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়া বালাই সমূহের মধ্যে অন্যতম, এদের কারনে ফসলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। এরা অনিয়মিতভাবে এবং প্রায়ই পাতায় বড় ছিদ্র করে, কিন্তু ডাল, ফুল, কন্দ এবং বাল্‌বেও ছিদ্র করতে পারে। আলু ফসলের ত্বকে বৃত্তাকার অগভীর ছিদ্র বা কন্দের গায়ে বিস্তীর্ণ গর্ত করতে পারে। পাতার উপরিভাগে এবং মাটিতে রূপালী বর্ণের গমনপথের দাগ সৃষ্টি হয় যা এসব প্রাণীরা করে থাকে। এরা প্রধানতঃ আর্দ্র আবহাওয়াতে বেশি আক্রমণ করে এবং কচি উদ্ভিদে বেশি করে রোগের বিস্তার ঘটায় ও কচি চারাগাছকে সম্পূর্ণরূপে খেয়ে মেরে ফেলতে পারে।

সুপারিশমালা

জৈব নিয়ন্ত্রণ

ফেরিক ফসফেট সমন্বিত দানা ব্যবহার জৈবিক নিয়ন্ত্রণের একটি অন্যতম উপায়। উত্তম ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিকারী প্রাণী যেমন হেজহগ, পাখি, ব্যাঙ, অন্ধকৃমি এবং মাটির বিট্‌ল পোকার ব্যবহার করা যায়।

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ

সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। তাদের বৈচিত্র্য এবং জীবনচক্রের কারণে, জোঁকগুলো সাধারণত রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণগুলোর নাগালের বাইরে। মেটালডিহাইড সমন্বিত দানা ব্যবহার করে তাদের গর্ত থেকে বাইরে বের করে ফাঁদে ধরা যায়। বৃষ্টিপাতের পরে যখন এরা সক্রিয় হয়ে ওঠে তখন এদের ছত্রভঙ্গ করে দূরে পাঠিয়ে দিন।

এটা কি কারণে হয়েছে

জৈবপদার্থের ক্ষয়ে যাওয়া অংশ এবং ফসলের পাতা, শিকড় এবং বিভিন্ন জাতের ফসলের কন্দ খেয়ে বেঁচে থাকে। জোঁক ভূগর্ভস্থ বাসিন্দা, উদ্ভিদ দানা বা কৃমি দ্বারা তৈরি ফাটল এবং সুড়ঙ্গের ভিতর আবাস করে, এবং শুধুমাত্র প্রজননের জন্য মাটির উপরে উঠে আসে। আলুর ত্বকে বৃত্তাকার অগভীর গর্ত তৈরি করতে পারে বা কন্দে প্রচুর খাঁজ সৃষ্টি করে, যা যথেষ্ট ক্ষতি করে। এ প্রাণীগুলো ভেজা আবহাওয়ার মধ্যে প্রফুল্লতা বোধ করে, তাই শিশিরসিক্ত রাত বা বৃষ্টিপাতের পরে প্রধানতঃ আক্রমণ করে। অধিকাংশ প্রজাতি হালকা শীতকালে বেঁচে থাকে এবং বসন্তে আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • উচ্চ এবং মাঝারি-রোগ প্রতিরোধী জাতের বীজ নির্বাচন করুন।
  • আগাম রোপণ করুন বা দ্রুত ফসল পরিপক্ক হয় এমন জাত রোপণের জন্যে নির্বাচন করুন।
  • এঁটেল জমিতে রোপণ এড়িয়ে চলুন, কারণ এসব জমিতে বেশি জোঁক থাকে।
  • রোপণের আগে এক দুবার জমিতে চাষ করুন যাতে শিকারী পশুপাখি জোঁক খেয়ে ফেলে।
  • ফসলের জমির চারপাশ ঘিরে কফি চাষ করুন যাতে তা এই সমস্ত কীটকে দূরে সরিয়ে রাখে।
  • আপনার ফসলের কাছাকাছি একটি বেড়া তৈরি করুন।
  • অ-প্রাণঘাতী ফাঁদ যেমন পুরানো ভিজা বস্তা এবং পচা কাঠের বোর্ড ব্যবহার করুন।
  • ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য জোঁক বা শামুককে হাতেনাতে দমন করুন।
  • সকালে অত্যধিক জলসেচ এড়িয়ে চলুন।
  • জমি ও জমির আশপাশ থেকে আগাছা অপসারিত করুন।
  • শিকারী পশুপাখির সংখ্যা বাড়ান।
  • যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফসল উত্তোলন করুন।
  • জমি থেকে মালচ্‌ অপসারণ করুন।

প্ল্যান্টিক্স অ্যাপসকে ডাউনলোড করুন