Zinc Deficiency
অভাব
জাতভেদে জিঙ্কের অভাবজনিত রোগের লক্ষণের তারতম্য হয় কিন্তু বেশ কিছু প্রভাব সব ক্ষেত্রে একই থাকে। অনেক জাতের গাছের পাতায় মূল শিরা সবুজ থাকে কিন্তু পাতাগুলো হলুদ হয়ে যায়। কিছু জাতে শুধু কচি পাতা আক্রান্ত হয়, আবার কিছু জাতে নবীন ও পুরাতন সব পাতাই আক্রান্ত হয়। নতুন পাতাগুলো ছোট, সরু এবং পাতার কিনারা ঢেউ খেলানো হয়। সময়ের সাথে পাতার হলদে দাগগুলো তামাটে বর্ণ ধারণ করে এবং পাতার কিনারা থেকে পচন শুরু হয়। কিছু ফসলে, কাণ্ডের মধ্যপর্বের দৈর্ঘ্য খর্বাকৃতি হয়ে পড়ে, ফলে পাতাগুলো কাণ্ডের চারপাশে গুচ্ছাকারে সজ্জিত হয়। কাণ্ডের মধ্যপর্বের দৈর্ঘ্য খর্বাকৃতি হওয়ার কারণে এবং কচি পাতার বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য (পাতা খর্বাকৃতি হয়) পাতার আকার বিকৃত হয় এবং দৈহিক বৃদ্ধিও বাধাগ্রস্ত হয়।
চারা রোপণের কয়েকদিন পরে বীজতলায় কিংবা জমিতে জৈবসার প্রয়োগ করলে তা জিঙ্কের অভাবজনিত রোগের প্রকোপের সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে।
আরো সুপারিশ:
জিঙ্কের অভাব বেশি প্রকট হয় স্বল্প জৈবসার সমৃদ্ধ ক্ষারীয় বেলে মাটিতে। মাটিতে প্রচুর পরিমাণ ফসফরাস কিংবা ক্যালসিয়ামের উপস্থিতিও ( ক্যালকেরিয়াস মাটিতে) জিঙ্কের সহজলভ্যতাকে বাধাগ্রস্ত করে। বস্তুতঃ ফসফরাস প্রয়োগে জিঙ্কের সহজলভ্যতার ক্ষেত্রে বিপরীত প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। মাটিতে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ পদার্থ যেমন চুনাপাথর কিংবা চক প্রয়োগ করলেও ( চুন প্রয়োগ) মাটির অম্লতা বাড়ে, ফলে জিঙ্ক সঞ্চয়ন ক্ষমতা কমে যায়, (এমনকি মাটিতে জিঙ্কের পরিমাণ অপরিবর্তিত থাকলেও) গাছ জিঙ্ক আহরণ করতে পারে না। গাছের অঙ্গজ বৃদ্ধি পর্যায়ে মাটি ঠাণ্ডা এবং ভেজা থাকলেও জিঙ্কের অভাবজনিত রোগ দেখা দিতে পারে।