Manganese Deficiency
অভাব
বেশির ভাগ ফসলের ক্ষেত্রে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের ঘাটতির তুলনায় এর ঘাটতির ক্ষেত্রে কম উল্লেখযোগ্য লক্ষণ দেখা যায়। ম্যাঙ্গানীজের অভাবে ফসলের কচি পাতার শিরার মাঝখানে ও উপরের দিকে সবুজ থাকে এবং পত্র ফলকের বাকি অংশ প্রথমে ফ্যাকাশে সবুজ এবং পরে লালবর্ণের ছাপযুক্ত ফ্যাকাশে সবুজ থেকে হলুদ ক্ষেত্র তৈরী হয়। ক্রমশঃ মৃত কোষকলা বিশিষ্ট ক্ষত বিস্তৃত হয় বিশেষত পাতার প্রান্তভাগ ও ডগার কাছে পোড়া দাগ পড়ে। এছাড়া পাতার আকার ছোট, বিকৃত, কিনারা ঢেউ খেলানো হয়। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে, পাতার উপর বাদামী দাগ দেখা যায় এবং গুরুতর আক্রান্ত পাতা পিঙ্গল বর্ণ ধারণ করে এবং নিস্তেজ হয়ে যায়। ম্যাগনেসিয়াম ঘাটতি দেখা দিলে যে সমস্ত লক্ষণসমূহ ফুটে ওঠে তার সঙ্গে ম্যাঙ্গানীজের ঘাটতির ফলে সৃষ্ট লক্ষণের মিল থাকাতে বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে কিন্তু মনে রাখতে হবে ম্যাগনেসিয়ামের অভাবজনিত রোগ প্রথমে পুরাতন পাতায় বিকাশ লাভ করে।
মাটির অম্লতা এবং পুষ্টি উপাদানের ভারসাম্যের জন্য মাটিতে মিশ্র সার বা জৈব সার ব্যবহার করুন। এগুলি জৈব মাটিতে হিউমাসের পরিমান বাড়ায়, জলধারন ক্ষমতা বাড়ায় এবং অম্লমাত্রা কিছুটা কমায়।
ম্যাঙ্গানীজের ঘাটতি একটি ব্যাপক সমস্যা, প্রায়শই বেলে মাটিতে, অম্লমান ৬-এর বেশী এরকম জৈব মাটিতে এবং ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মাটিতে এর ঘাটতি হতে পারে। বিপরীতে বেশী অম্লযুক্ত মাটিতে এ উপাদানের উপস্থিতি বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত বা অসম সার ব্যবহারের ফলে কিছু গৌণ পুষ্টি উপাদান একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় নামে যাতে সংশ্লিষ্ট পুষ্টি উপাদানটি ফসলের কাছে সহজলভ্য হয়। সালোকসংশ্লেষ এবং নাইট্রেট আত্তীকরণে ম্যাঙ্গানীজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আয়রন, বোরন এবং ক্যালসিয়ামের মত ম্যাঙ্গানীজ ফসলের মধ্যে স্থির অবস্থায় থাকে যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিচের পাতায় জমা হয়। লক্ষণগুলো প্রথমে কচি পাতায় দেখতে পাওয়ার এটাই কারণ। ম্যাঙ্গানীজের অভাব ফসলে উঁচু মাত্রার সংবেদনশীলতা প্রদর্শন করে এবং এ পুষ্টি উপাদানের সক্রিয়তায় গর্ভাধানের লক্ষণ দেখা দেয় যে ফসলগুলিতে, সেগুলি হল দানাশস্য, শিম জাতীয় ফসল, পিচ্ ও বেরী জাতীয় ফল, পাম ফসল, লেবুজাতীয় ফসল, সুগার বিট এবং রান্নার তেল উৎপাদনকারী ফসল সহ অন্যান্য ফসল।