Xanthodes transversa
বালাই
শুঁয়োপোকা পাতা খেয়ে বেঁচে থাকে ফলে পত্রমোচন হয়। পাতা খায় বলে তা গাছের সালোকসংশ্লেষে অসুবিধা সৃষ্টি করে এবং ফলে ফসলের বৃদ্ধি ও ফলন নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত হয়।
এই সামান্য কীটের জন্য জৈবিক নিয়ন্ত্রণ করাটা সম্ভব নয়। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে এই পোকাগুলিকে হাত দিয়ে ধরে অপসারিত করুন।
বৃদ্ধির প্রথম পর্যায়ে যদি অনেক শুঁয়োপোকা একত্রিত থাকে, তাহলে ক্ষতি এড়াতে দমনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজনীয়। ক্ষতির চিহ্ন দেখলেই আপনাকে যত দ্রুত পারা যায় তত দ্রুত কাজ করতে হবে। যে সমস্ত বড় খামারে বিদেশে রপ্তানী করার জন্য ঢেঁড়শের চাষ করা হয়, সেখানে অসংখ্য শুঁয়োপোকার উপস্থিতি অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে। কোন পণ্য ব্যবহার করতে হবে সে ব্যাপারে পরামর্শ নেওয়ার জন্য আপনাকে কোন কৃষি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, এবং কীটনাশক ব্যবহার করার সময়ে নিয়মবিধি অনুসরণ করাটা নিশ্চিত করতে হবে।
ক্ষতির কারণ হিসাবে জ্যান্থোডেস ট্র্যান্সভার্সা নামক মথকে দায়ী করা যায়। এই মথগুলি বিশেষ করে ম্যালভ্যাসি বর্গের অন্তর্গত অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ ফসলের পাতায় বসে খায়। স্ত্রী মথ পাতার নীচের পৃষ্ঠে একবারে একটি করে ডিম পাড়ে। এক সপ্তাহ পরে ডিম ফুটে ছোট শুঁয়োপোকা বেরিয়ে আসে। পূর্ণবয়স্ক শুঁয়োপোকা কালচে সবুজ রঙের হয় এবং এদের দেহের দৈর্ঘ্য বরাবর সুস্পষ্ট হলুদ ডোরাকাটা দাগ থাকে। এই দাগের উভয়দিকে কালো রঙের ঘোড়ার নালের মতো আকারের চিহ্ন থাকে। পরবর্তী পর্যায়ে শুঁয়োপোকার কিছুটা আলাদা রঙের নকশা তৈরী হয়। তরুণ বয়সী লার্ভা সূত্রাকার হয় ও যথেচ্ছ বিচরণ করে। এরা পাতার নীচের পৃষ্ঠ থেকে খায়, যার ফলে এখানেও এদের দেখা মেলে। শুঁয়োপোকা মাটিতেই পিউপায় রূপান্তরিত হয় এবং কয়েক সপ্তাহ পরে মথ রূপে এদের দেখা মেলে। পূর্ণবয়স্ক মথ হলুদ রঙের হয়, এবং প্রত্যেকটি অগ্রবর্তী ডানা জুড়ে তিনটি বাদামী রঙের তীরের আকারের দাগ থাকে। উষ্ণ, আর্দ্র আবহাওয়া এই পোকার বংশবৃদ্ধির অনুকূল হয়। যদিও এটি প্রভূত পরিমাণে ক্ষতি করে না, তবুও এটি ফসলের কিছু না কিছু ক্ষতি করেই।