Chilo sacchariphagus indicus
বালাই
এ পোকার কীড়া প্রথমে কচি পেঁচানো পাতা খেয়ে বন্দুকের গুলির মত ছিদ্র সৃষ্টি করে। উদ্ভিদ বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ে তারা গাছের বর্ধমান অংশগুলি খেয়ে মরাডিগ তৈরি করে। পর্বমধ্য অনেকগুলি ছিদ্রসহ সংকুচিত হয়। যখন কাণ্ডে প্রবেশ করে, অভ্যন্তরে খাওয়ার সময় তারা মলমূত্র দিয়ে প্রবেশ ছিদ্রগুলি বন্ধ করে দেয়। কীড়া কাণ্ডের টিস্যুগুলির উপরের দিকে চলে আসে, লালভাব ঘটায় এবং গিঁটগুলির ক্ষতিসাধন করে। গাছের ডগা দুর্বল হয়ে যায় এবং বাতাসে সহজেই ভেঙে যায়। অন্যান্য লক্ষণের সাথে গাছের বৃদ্ধি কমে যায়।
এ পোকার জন্য কোনও জৈবিক কীটনাশক জানা যায়নি, তবে পরজীবি পোকা কাণ্ডের মাজরা পোকার প্রকোপ হ্রাস করতে সক্ষম হয়। ট্রাইকোগ্রামা অস্ট্রেলিয়াকামের ৫০,০০০ পরজীবী/হেক্টর/সপ্তাহে ব্যাপক অবমুক্তি করা যেতে পারে। ৪র্থ মাস থেকে ১৫ দিনের ব্যবধানে ডিমের পরজীবী ট্রাইকোগ্রামা কাইলোনিস @ ২.৫ মিলি / হেক্টর ৬ বার ছেড়ে দিন। লার্ভাল প্যারাসিটয়িড- স্টেনোব্র্যাকন ডিসা এবং অ্যাপান্টিলাস ফ্ল্যাভিপ্স অবমুক্ত করা যেতে পারে। পুত্তলী পর্যায়ের জন্য, পরজীবী টেট্রাস্টিকাস আইয়ারি এবং ট্রাইকোস্পিলাস ডায়াট্রিয়ি অবমুক্ত করা যেতে পারে।
সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। গাছের বাড়ন্ত সময় পাক্ষিকভাবে মনোক্রোটোফস, একটি স্পর্শক কীটনাশক স্প্রে করুন। ক্ষতি গুরুতর হলে মাটিতে প্রতি হেক্টর জমিতে ৩০ কেজি কার্বোফুরান ৩জি দানা প্রয়োগ করুন।
চিলো স্যাকারিফ্যাগাস ইন্ডিকাস লার্ভা দ্বারা গাছের ক্ষতি হয়। প্রাপ্তবয়স্ক মথ দেখতে ছোট, খড়ের বর্ণ, পেছনের ডানা সাদা এবং সামনের ডানার প্রান্তে একটি গাঢ় রেখা থাকে। এরা সারা বছরই সক্রিয় থাকে, এক বছরে প্রায় ৫-৬ প্রজন্ম সম্পূর্ণ করে। প্রাথমিক পর্যায় থেকে ফসল কাটা পর্যন্ত গাছ আক্রান্ত হয়। কীড়া গাছের গিঁট অঞ্চলে ছিদ্র করে ঢুকে পড়ে, কাণ্ডে প্রবেশ করে উপরে দিকে নালা করে। আখের পাশে জলাবদ্ধ অবস্থা কাণ্ডের মাজরাপোকার পছন্দসই পরিবেশ কারন, এখানে উচ্চ মাত্রায় নাইট্রোজেনের পাশাপাশি নিম্ন তাপমাত্রা এবং উচ্চ আর্দ্রতাও রয়েছে। ভুট্টা ও জোয়ার এদের অন্যান্য পোষক।