Argyresthia conjugella
বালাই
আপেল ফলের ভিতরের দিকটা সুড়ঙ্গ দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়, ফলের ত্বক কুঞ্চিত আকৃতি ধারন করে। ফলের উপর বিবর্ণ এবং দাবানো দাগ পরিলক্ষিত হয়। পরবর্তী ধাপে ত্বক অসংখ্য ছোট ছিদ্র এবং বাদামী দাগ দ্বারা ভরে যায়।
কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যাসিলাস থুরিঞ্জিয়েস গ্যালারির সুপারিশ আছে। আপেল ফলের মথের বেশ কিছু প্যারাসিটয়েডস থাকে যা লার্ভাকে আক্রমণ করে।
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। মথের স্থানান্তর শুরু করার আগে ভিতরের পাড়া গাছগুলিকে রক্ষা করতে প্রান্ত স্প্রে করার অনুশীলন করুন। মারাত্মক উপদ্রব হলে পুরো বাগানে স্প্রে করতে হবে। কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণের জন্য আজিনফস-মিথাইল, ডিফ্লুবেনজুরনযুক্ত কীটনাশক সুপারিশ করা হয়। পরবর্তী ঋতুর উপদ্রব থেকে রক্ষা করার জন্য, সুপারিশকৃত ধুলাবালি বা কার্বোপুরান ফুরান ৩ জি দিয়ে মাটি শোধন করতে হবে (১-১.৫ কেজি/হেক্টর)। এছাড়াও, ১৫ দিনের ব্যবধানে দুবার ক্লোরোপাইরিফস (২০ EC) স্প্রে করুন।
আরগাইরেস্থিয়া কঞ্জুগেল্লা নামক লার্ভা দ্বারা ক্ষতি হয়। এদের প্রাকৃতিক আবাস হল সরবাস অকুপারিয়া (রোওয়ান) কিন্তু গাছের ফল উৎপাদন কম হলে এরা আপেল গাছে চলে যায়। ছোট বাদামী এবং সাদা প্রাপ্তবয়স্ক মথ গ্রীষ্মকালে দেখা যায়, কিন্তু স্ত্রী পোকা আপেলের ফলের ছড়ার উপর ডিম পাড়ে। লার্ভা সরাসরি বিকাশমান ফলের মধ্যে প্রবেশ করে এবং ফলের ভিতর খাওয়া শুরু করে। লার্ভা সম্পূর্ণভাবে বড় হয়ে উঠলে তা মাটিতে পড়ে পুত্তলিতে পরিণত হয় এবং মাটিতে শীতকাল অতিবাহিত করে। ভারী বৃষ্টিপাত, ঠান্ডা তাপমাত্রা কীটপতঙ্গের সংখ্যাকে নেতিবাচকভাবে হ্রাস করে। নামলা জাতের আপেল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফল বিক্রির অযোগ্য হয়ে পড়ায় লাভ মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে।