Limacodidae sp.
বালাই
স্লাগ ক্যাটারপিলার পাতা থেকে খেয়ে পত্রমোচন ঘটায়। শুঁয়োপোকা বিরাট পরিমাণ উদ্ভিদ কলা ও পাতা ভক্ষণ করে ও শুধুমাত্র পত্রশিরা ও কাণ্ড এই ঘটনার সাক্ষী হিসাবে থেকে যায়। ফলস্বরূপ, গাছ সঠিকভাবে সালোকসংশ্লেষ করতে সক্ষম হয় না, ফলন হ্রাস পায়। এর অর্থ হলো স্লাগ ক্যাটারপিলার দ্বারা আক্রান্ত উদ্ভিদ সুস্থ উদ্ভিদের তুলনায় কম ফসল উৎপাদন করতে পারে।
রাসায়নিক ছাড়া কীটকে নিয়ন্ত্রণ করতে, আক্রান্ত গাছ থেকে হাতেনাতে শুঁয়োপোকা অপসারিত করাটা একটি বিকল্প উপায়। সরাসরি হাত দিয়ে স্পর্শ না করে এটি করতে হবে একজোড়া চিমটা বা একটুকরো ফিতে ব্যবহার করে। আলোর ফাঁদও প্রাপ্তবয়স্ক মথকে ফাঁদে ফেলতে ও হাত দিয়ে সংগ্রহ করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। কার্যকরীভাবে কীটকে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতি হেক্টর পিছু ৫টি আলোর ফাঁদ বসানো যেতে পারে।
সুনির্দিষ্ট অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত কীটনাশক নির্বাচন করুন, লেবেলের গায়ে লেখা নির্দেশাবলী সযত্নে অনুসরণ করুন, ও এই কীটনাশক প্রয়োগ করার সময় সুরক্ষাদায়ক পোষাক ও হাতদস্তানা পরুন। এটা জানা আছে যে কার্বারিল ও ডিক্লোরভস নামক দুটি সক্রিয় উপাদানের ভালো প্রভাব আছে।
স্লাগ ক্যাটারপিলারের দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি লিমাকোডাইডি বর্গের অন্তর্গত ক্যাটারপিলার মথ দ্বারা হয়। এই সমস্ত শুঁয়োপোকা খোলাবিহীন শামুকের মতো দেখতে হয় বলে এইরকম নামকরণ করা হয় এবং এই বর্গের অন্তর্গত অধিকাংশ প্রজাতির দেহে যন্ত্রণাদায়ক হুলের উপস্থিতির কারণে তা মানুষের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য স্বাস্থ্যহানির কারন হতে পারে। ক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলে এদের পর্যাপ্ত সংখ্যায় দেখা মেলে এবং সারা বছর ধরেই এরা উপস্থিত থাকে। স্লাগ ক্যাটারপিলার তাদের জীবনচক্রে বেশ কয়েকটি দশা অতিক্রম করে। এই দশা উদ্ভিদের পাতার উপরে ডিম পাড়া থেকে শুরু হয়। একবার ডিম ফুটে বের হলে, স্বল্প বয়স্ক শুঁয়োপোকা পাতা থেকে খেতে শুরু করে। বৃদ্ধিকালে, এরা তাদের ত্বক বেশ কয়েকবার নতুন করে পুনর্জীবিত করে এবং পুরাতনের জায়গায় নতুন ত্বক তৈরী করে। অবশেষে, শুঁয়োপোকা নিজের দেহের চারপাশে গুটি তৈরী করে পিউপায় রূপান্তরিত হয়। একটি নির্দিষ্ট সময় পরে, পরিণত বয়সী মথ গুটি থেকে বের হয়ে আসে এবং পুনরায় নতুন চক্র শুরু করে। তালজাতীয় বৃক্ষের কাছে এই কীটগুলির উচ্চতর পরিবেশগত গুরুত্ব আছে কারণ সেগুলি গুরুতর পত্রমোচনের কারণ হতে পারে। তাড়াতাড়ি এই কীটগুলিকে চিহ্নিত করা ও নিয়ন্ত্রণ করাটা গুরুত্বপূর্ণ কেননা তাহলে তা ফসলের ক্ষতিকে প্রতিহত করতে পারবে ও উদ্ভিদের সুস্থ বৃদ্ধিকে সুনিশ্চিত করবে।