Myllocerus sp.
বালাই
তুলো উদ্ভিদে ধূসর মথ সৃষ্ট সংক্রমণের প্রথম উপসর্গ হিসেবে খাঁজকাটাযুক্ত পাতার কিনারা দৃশ্যমান হয়ে থাকে। পূর্ণবয়স্ক মথ নতুন কচি চারা পছন্দ করে, প্রথমে পাতার কিনারা থেকে খাওয়া শুরু করে এবং পরে অভ্যন্তরে চলে যায়। খুব বেশী গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে উদ্ভিদ সম্পূর্ণরূপে পাতাবিহীন হয়ে যেতে পারে। সুস্থ উদ্ভিদ পোকার খাওয়ার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে তবে কচি চারায় ফুল সৃষ্টির সময় তা মারা যায়। গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে উদ্ভিদের বৃদ্ধি থমকে যায় । আক্রান্ত উদ্ভিদ খুব সহজেই তুলে ফেলা যায়।
বেসিলাস থুরিংয়েনসিস এসএসপি টেনেব্রিওনিস (বিটিটি) ২.৫ মিলিগ্রাম / লি মিশ্রণ মাটিতে মিশিয়ে দিন। এছাড়া রুট টিপ পদ্ধতির জন্য ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির জন্য উদ্ভিদের শিকড়গুলো বিটিটি দ্রবনে ডুবিয়ে দিন এবং সেগুলো রোপণ করার পূর্বে বাতাসে শুকিয়ে নিন। আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রা রক্ষণাবেক্ষণ উপর কীড়া মৃত্যু্র হার নির্ভরশীল। শেষ চাষের সময়ে হেক্টর প্রতি ৫০০ কেজি নিম কেক প্রয়োগ করুন।
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। মাটিতে অবস্থিত ধূসর মথের ডিম, কীড়া এবং পিউপা দমনের ক্ষেত্রে রাসায়নিক দমন পদ্ধতিতে তুলনামূলক সাফল্য রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক মথ দমন খানিকটা কষ্টদায়ক কেননা এগুলো উড়ে যাওয়ার, লুকানোর এবং মৃত্যুর ছলছাতুরি করার ক্ষমতা রাখে। পোকার প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে নতুন সমস্যা উদ্ভূত হয়। কুইনালফোস বা ক্লোপ্রাইরিফেস স্প্রে করতে পারেন, বপনের ২০ দিন পর ডেমোথোয়েট বা ফরেট বা কার্বাইল দানার বালি দিয়ে সংমিশ্রন করুন।
তুলো উদ্ভিদের মাইলোসেরাস প্রজাতির পূর্ণবয়স্ক ধূসর মথ এবং কীড়া দ্বারা রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে। পূর্ণবয়স্ক মথ আকারে ছোট এবং হালকা ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে, ডানার আবরণ ও মাথায় গাঢ় দাগ দেখা যায়। ২৪ দিনের মধ্যে স্ত্রী পোকা ৩৬০ টি ডিম পেড়ে থাকে । ডিম ফোটার পর , কীড়া মাটিতে গর্ত করে উদ্ভিদের শিকড় খেয়ে থাকে। কীড়াগুলো তখন পিউপায় পরিনত হয়। শীত মৌসুমে উদ্ভিদের অবশিষ্টর মধ্যে পূর্ণবয়স্ক মথ বেঁচে থাকতে পারে। মাইলোসেরাস প্রজাতির বিভিন্ন বাহক উদ্ভিদ আছে যেমনঃ সৌন্দর্যবর্ধক, পাতাবাহারি থেকে বিভিন্ন ফলজ উদ্ভিদ।