Astylus atromaculatus
বালাই
পিঠে কালো দাগাংকিত হলুদ রঙের অসংখ্য লম্বা বিটল পোকা ফুল এবং ভুট্টার মোচার উপর পাওয়া যায়। এরা বীজ বা অঙ্কুরোদগমশীল ভুট্টার চারা গাছের ক্ষতি করে এবং ফসলের বৃদ্ধি হ্রাস করে। এ পোকা প্রকৃতপক্ষে কার্যকর পলিনেটর হিসাবে বিবেচিত হয় কারণ এদের উড্ডয়ন পরিসর মাঝে মাঝে ২০০ মিটার বা তারও বেশি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শুধুমাত্র তখনই (উষ্ণ, শুষ্ক আবহাওয়া এবং ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রা) এ পতঙ্গ বালাই হিসেবে দেখা দেয় । সে ক্ষেত্রেও আক্রমণ এমন পর্যায়ে থাকে না যে কীটনাশক ব্যবহার করার তেমন প্রয়োজন আছে।
পরিচিত শিকারী পোকা (দানা শস্যের মাজরা পোকার) আবাস ব্যবস্থার সাথে গাছের দেওয়া-নেওয়ার (ডেসমোডিয়ামের সাথে একটি সাথী ফসল এবং নেপিয়ার ঘাসের সাথে বাধা) সম্পর্কটি কীটের ফসল খাওয়া থেকে বিরত রাখার ক্ষেত্রে অতীতে ভাল কাজ করেছে ।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। বর্তমানে অস্টাইলাস বিটলের নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রস্তাবিত পদ্ধতির মধ্যে রাসায়নিক বীজ শোধন এবং রাসায়নিক স্প্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ভুট্টার বিটল, অস্টাইলাস এট্রোমাকুল্যাটাস দ্বারা ফসলের ক্ষতি হয়। প্রাপ্তবয়স্ক বিটল সামান্য লম্বাটে হয়, এবং এদের কালো দাগ যুক্ত হলুদ রঙের পাখা আছে। এরা প্রধানত তৃণভোজী হয় এবং কিছু ফসল যেমন ভুট্টা, ধান, জোয়ার, বা সূর্যমুখীর সিল্ক, রেণু অথবা দানা খেয়ে থাকে। এরা সাধারণত এইসব গাছপালার প্রভূত পরিমাণে ক্ষতি করেনা। মাঠে খুব কম ফসল থাকলে, বিটল ঘাসের উপর প্রছুর পরিমাণে জড়ো হয় এবং গবাদি পশু যদি এই পোকা খেয়ে থাকে তবে এটি একটি সমস্যা হতে পারে এবং সাথে সাথে মৃত্যুর কারন তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করে। স্ত্রী বিটল শুকনো পাতার নিচে ডিম পাড়ে। মাটিতে কীড়া পোকা বাস করে এবং খাওয়ার জন্য ফসলের পচা অবশিষ্টাংশের উপর নির্ভর করে। এরা বীজের বা অঙ্কুরোদগমশীল ভুট্টার চারা গাছের ক্ষতি করে এবং ফসলের বৃদ্ধি হ্রাস করে। উষ্ণ, শুষ্ক আবহাওয়া (১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে) এদের জীবনচক্রকে সমর্থন করে।