Atherigona sp.
বালাই
ম্যাগোট নতুন জন্মানো চারা গাছের কচি ডাল খেয়ে ফেলে, ফলে "ডিগ মরা" লক্ষণ দেখা যায়। সাধারণত প্রথম পাতার ঠিক উপরে, কচি ডালের যে দিকে পোকা প্রবেশ করে সেদিকে ক্ষুদ্র বৃত্তাকার কাটা অংশ দেখা যায়। নতুন পাতায় এর আক্রমণের ৬-৭ দিন পর ক্ষতির লক্ষণ অধিকতর স্পষ্ট হয়ে উঠে। কাটা পাতাগুলি হলুদাভ-সবুজ এবং ঘন মোটা হয় এবং পাতার প্রান্ত উপরের দিকে ভাঁজ হয়ে যায়। আক্রমণ মারাত্মক হলে চারা গাছ নেতিয়ে পড়ে, প্রান্তের বৃদ্ধি থেমে যায় এবং গাছ ছোটই থেকে যায়। যদিও স্ত্রী পোকা অনেক ডিম পাড়ে, সাধারণতঃ প্রতি চারায় একটি মাত্র কীড়া পাওয়া যায়।
আজ পর্যন্ত এ পোকা দমনে কোন জৈবিক দমন ব্যবস্থা জানা যায়নি। এ ব্যাপারে আপনার কোন কিছু জানা থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হল।
সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। বর্তমানে ফসলে এ পোকার আক্রমণ কমাতে ফ্লাই পুরোদমে সক্রিয় হওয়ার আগে মরশুমের শুরুতে বীজ বপনের সুপারিশ করা হয়। পোকা দমনে পাইরিথ্রয়েড-এর বালাইনাশক ব্যবহার করা হয়।
এথেরিগোনা প্রজাতির কয়েকটি ফ্লাই পোকা ক্ষতি সাধন করে। ধূসর রঙের এই ছোট পোকাটি গাছের সব খায় এবং প্রধান প্রধান শস্যে আক্রমণ করে যেমন - গম, ভুট্টা এবং সরগাম। অন্যান্য ফসলের মধ্যে মরিচ, শিম বা মসুর এ পোকা দ্বারা আক্রান্ত হয়। স্ত্রী পোকা চারা গাছের কাণ্ড বা গাছের গোড়ায় মাটিতে একটি করে ডিম পাড়ে তবে কখনো জোড়ায় ডিম পাড়তেও দেখা যায়। খামারের সার ব্যবহার করলে স্ত্রী পোকার আক্রমণ বেশি দেখা যায় এবং ডিম পাড়ার হার বেড়ে যায়। নতুন বের হওয়া কীড়া দেখতে ফানেলাকৃতির এবং সাদা হয়। এরা গাছের উপরে ওঠে এবং মুখের হুক ব্যবহার করে গাছের কচি ডালের নরম অংশ কেটে ফেলে। সাধারণত প্রথম পাতার ঠিক উপরে এমনটা দেখা যায়। কাণ্ডের নিচে কোকুন তৈরি করে। এই ফ্লাই পোকা মধ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্যাপক ক্ষতি করে।