Lepidosaphes beckii
বালাই
পার্পল মুসেল স্কেল পোকা উদ্ভিদের পৃষ্ঠতল আঁকড়ে থাকে, যার মধ্যে ফল, পাতা, ডালপালা, ও গাছের ধড় অন্তর্ভুক্ত। পোকা উদ্ভিদের তরল রস পান করে, যার ফলে খালি চোখে দেখা যায় এমন কিছু সমস্যা তৈরী হয়। পাকা ফলের যে অংশে বসে স্কেল পোকা খায় সেই অংশটি সবুজ হতে শুরু করে। পাতা হলুদ হয় এবং গাছ থেকে খসে পড়তে পারে। গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে, শাখাপ্রশাখার শেষভাগ শুকিয়ে যেতে শুরু করে এবং এই ক্ষতি শাখাপ্রশাখার প্রধান অংশের দিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
ডিমের প্রথম স্ফুটনের আগে শীতের শেষভাগে বা আগেভাগেই গুরুতর সংক্রমণকে চিহ্নিত করতে পারলে অপরিবর্ধিত তেল ও লাইম সালফার গাছে স্প্রে করুন। ছোট গাছে , বা বড় গাছের যে অংশে হাত পৌঁছায় সেখান থেকে আপনি প্লাস্টিক ডিশ স্ক্রাবার দিয়ে বহু সংখ্যক বালাইকে ঝেড়ে নিয়ে সংগ্রহ করতে পারেন। সাধারণত, প্রাকৃতিক শত্রুরা এই সমস্ত বালাইকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখে, তাই এই সমস্ত বালাই খুব বেশী সমস্যার কারণ হয় না।
এই বালাই সাধারণত ন্যূনতম ক্ষতির কারণ হয়, কিন্তু সংখ্যাধিক্য হলে এগুলিই গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে, এবং তখন রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণের সম্ভাবনা তৈরী হয়। এই সমস্ত বালাইগুলিকে আপনি দেখতে পেলেও বালাইনাশক দিয়ে মেরে ফেলাটা খুবই কঠিন কারণ এদের দেহের শক্ত খোল এদের রক্ষা করে। মরশুমের শুরুতেই যখন স্বল্প বয়সী, অসুরক্ষিত বালাইগুলি খাওয়ার আগে ইতস্ততঃ ঘুরে বেড়ায় তখন এদের নিয়ন্ত্রণ করাটাই সেরা উপায়। শক্তিশালী এবং নির্বিচারে প্রয়োগ করা যায় এমন বালাইনাশক যেমন সিন্থেটিক পাইরেথ্রেয়ডস, ব্যবহার করাটা এড়িয়ে চলাই ভালো কেননা এই ধরণের বালাইনাশক উপকারী শিকারী পতঙ্গকেও হত্যা করতে পারে। যে ধরণের বালাইনাশককে উদ্ভিদ শোষণ করতে পারে তেমন বালাইনাশক ব্যবহার করাটাই ভালো।
গাছের উপরে যে স্ফীত অংশ দেখা যায় সেগুলিই স্ত্রী পার্পল মুসেল স্কেল বালাই। সেগুলি সরে যেতে পারে না এবং ঈষৎ বেগুনী-বাদামী সুরক্ষামূলক আবরণের নীচে লুকিয়ে পড়ে। স্ত্রী পোকা তার সুরক্ষামূলক আবরণের নীচে ডিম পাড়ে, এবং এই স্থানে সারা শীতকাল নিরাপদে কাটায় এবং মে বা জুন মাসের শেষে ডিম ফুটে বাচ্চা স্কেল পোকা বেরিয়ে আসে। এই সমস্ত বালাইগুলি বছরে একবার প্রজনন করে। স্বল্প বয়সী বালাইগুলি চলতে পারে এবং হেঁটে অথবা বাতাস, যানবাহন, প্রাণী, পাখি, ও মানুষের জামাকাপড়ের মাধ্যমে নতুন গাছে ছড়িয়ে পড়ে। গাছের অবশিষ্টাংশের স্থানান্তরের মাধ্যমেও বালাই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গাতে ছড়িয়ে যেতে পারে।