Otiorhynchus cribricollis
বালাই
প্রাপ্তবয়স্ক কারকুলিও উইভিল পাতার উপরিভাগে আক্রমণ করে, পাতার কিনারা বরাবর একটি স্বতন্ত্র আঁকা বাঁকা রেখার উপস্থিতি দেখা যায়। তারা গাছের বাড়ন্ত / কচি কাণ্ড /ডগা খায় এবং মাঝে মাঝে গাছের চারদিকে রিং করে বাকল খায় । ফলে গাছের জল ও খাদ্য পরিবহন বাধাগ্রস্থ হয়ে গাছের শাখা কমিয়ে দেয়। কিছু ফসলের ক্ষেত্রে উইভিল তার স্নাঊট দিয়ে ফুলে আক্রমণ করে এবং প্রজনন কাঠামো নষ্ট করে। বিশেষভাবে কম বয়সী গাছের ক্ষেত্রে, পোকার সংখ্যা বেশি হলে এরা উল্লেখ্যযোগ্য ক্ষতি করতে পারে। পূর্বে চারণভূমিতে বেড়ে ওঠা প্রাপ্তবয়স্ক পোকা নতুন লাগানো আঙ্গুরর ক্ষেত বা বাগানেও আক্রমণ করতে পারে । আঙ্গুর বা ফল সাধারণত ক্ষতিগ্রস্ত হয় না । কীড়া ফসলের শিকড় খায় কিন্তু তাদের ক্ষতির পরিমাণ সীমিত বলে মনে হয় ।
এখন পর্যন্ত এ পোকার বিরুদ্ধে কার্যকরী কোন জৈবিক দমন ব্যবস্থা জানা যায়নি । এ ব্যাপারে আপনার কোন বিষয় জানা থাকলে আমাদের জানানোর অনুরোধ রইল।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন । সিন্থেটিক পাইরিথয়েড ব্যবহার করে কার্যকরী উপায়ে কারকুলিও উইভিল দমন করা যায় । যেসব গাছ ফল ধারন করেনি অথবা ফল নেই সেসব গাছে আলফা-সাইপারমেথ্রিন ব্যবহার করেও পোকা দমন করা যায় ।
আঙ্গুরের গাছ কারকুলিও উইভিল ( ওটিওরাহিনকাস ক্রাইব্রিকলিস) দ্বারা আক্রান্ত হয় । প্রাপ্ত বয়স্ক পোকা রাতে খায়। দিনের বেলা তারা গাছের বিভিন্ন শাখার ভিতরে বাকলের মধ্যে ,ফল ও পাতা অথবা মাটির ভিতরে আশ্রয় নেয় । এরা গাছে অথবা মাটির আলতো জৈব পদার্থে ডিম পাড়ে । ডিম ফোটার পরে সদ্যোজাত কীড়া মাটি খনন করে ভিতরে প্রবেশ করে এবং গাছের মূলকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে । তারা শরৎকালে কোকুন তৈরি করে। কোকুন স্তরের দৈর্ঘ্য আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে কিন্তু এটি সাধারণত তিন থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয় । মাঝারি তাপমাত্রা কারকুলিও উইভিল-এর জীবনচক্রের জন্য খুবই অনুকূল হয় । এরা বছরে এক বার প্রজনন করে থাকে, তবে গ্রীষ্মের তাপদাহের পর এদের পুনরায় সক্রিয় হওয়া দেখে অনেকে মনে করে এটা তাদের দ্বিতীয় প্রজন্ম । অধিকাংশ উইভিল উড়তে পারে না, তবে কিছু উইভিল স্বল্প দূরত্ব পর্যন্ত উড়তে পারে।