Altica ampelophaga
বালাই
পূর্ণবয়স্ক পোকা ও কীড়ার আক্রমণে পাতায় ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়। পূর্ণবয়স্ক পোকা পত্রাংশ ছিদ্র করে ও পাতা খেয়ে বেঁচে থাকে এবং পুরো পাতাজুড়ে অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র তৈরি করে। কীড়া পাতার উপরিভাগ খেয়ে ফেলে, বিপরীত দিকে কেবল মৃত কলা রেখে দেয়। যখন আবহাওয়া অনুকূল থাকে এবং শীতাবস্থা অতিবাহিত করা পূর্ণবয়স্ক পোকা দেখা যায়, তখন সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বসন্তের প্রথমদিকে যদি এরা সক্রিয় থাকে তবে গাছের পাতা এবং নতুন কুঁড়িও খেয়ে শেষ করে। শক্তিশালী সংক্রমণ হলে পাতা জালের মত হয়ে যায় এবং নতুন ফুলের গুচ্ছও ধ্বংস করে ফেলে। যেসব প্রজাতি শক্ত ঝোপালো হয় এরা সহজে আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে এবং আঘাতও তেমন গুরুতর হয় না। একবার যদি কুঁড়ি বড় হয়ে ওঠে তাহলে এ বিটল গাছের তেমন কোন ক্ষতি করতে পারে না।
আঙ্গুরের ফ্লী বিটল দমন ব্যবস্থায় শিকারি বাগ জিকরোনা কইরুলা প্রধান জৈবিক নিয়ন্ত্রণ বাহক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অন্যান্য শিকারী পোকা এবং বহুভোজী প্যারাসাইটও এ রোগ দমনে ব্যবহৃত হয়। উপকারী কৃমি প্রয়োগ করলে এরা পোকার কীড়া ধ্বংস করে পরবর্তী প্রজন্মের বিস্তারে বাধা দেয়। প্রথম বয়স্ক পোকা পর্যবেক্ষন করার পর স্পিনোস্যাড বা নিম তেলের সংমিশ্রণ স্প্রে করা যায়, যা পোকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। পূর্ণবয়স্ক পোকা দেখার সাথে সাথে আঙ্গুরের ফ্লী বিটল দমনে ক্লোরোপাইরিফস, ল্যামডা সাইহ্যালোথ্রিন সক্রিয় উপাদানের ফরমুলেশন অথবা পাউডার প্রয়োগ করতে হবে।
এলটিকা এমপিলোফেগা নামক আঙ্গুরের ফ্লী বিটল দ্বারা এ ক্ষতি সাধিত হয়। এ চকচকে ধাতব বিটল বসন্তে সক্রিয় হয় এবং নতুন পাতায় আক্রমণ করে। পরিবেশগত বিষয়গুলোর ওপর নির্ভর করে জীবনচক্রের বিভিন্ন পর্যায়ের সময়কাল বিভিন্ন ভাবে পরিবর্তিত হয়। স্ত্রী পোকা পাতার নিচের অংশে একত্রে ডিম পাড়ে, সারা জীবনে কয়েকশত থেকে অসংখ্য ডিম পাড়ে। সাধারণতঃ অভিপজিশনের ১ থেকে ২ সপ্তাহ পরে ডিম পাড়ে। তারপর কীড়া একমাসের জন্য পাতা খায় ও বেড়ে ওঠে এবং উন্নয়নমূলক পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যায়। তারপর এরা কোকুন আকারে মাটির পাঁচ সেন্টিমিটার গভীরে থাকে এবং এক থেকে তিন সপ্তাহ পর পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে হাজির হয়। প্রতিবছর দুই থেকে তিনটি প্রজন্ম দেখা যায়। বয়স্ক পোকা পাতার বিছানায় হাইবারনেট করে ।