কলা

কলার লোমযুক্ত বিছা পোকা

Pericallia ricini

বালাই

সংক্ষেপে

  • আঁচড়ে খাওয়ার কারণে যে ক্ষতি হয় তা পাতার কোষকলাকে ক্লোরোফিল বিহীন হালকা বাদামী করে ফেলে।
  • এতে উন্মুক্ত পাতায় জানালার মত ছোপ দেখা যায়।
  • তীব্র আক্রমণে পত্রমোচন ঘটে।

এখানেও পাওয়া যেতে পারে

1 বিবিধ ফসল

কলা

উপসর্গ

বিছাপোকার কারণে এসব লক্ষণ প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে পাতার কোষকলার ক্লোরোফিল উপাদান আঁচড়ে খাওয়াজনিত ক্ষতি দেখা যায়। সময়ের সাথে সাথে পাতার বড় অংশ হালকা বাদামী, স্বচ্ছ স্থানযুক্ত জানালা সদৃশ দেখা যায়। তীব্র সংক্রমণে পত্রমোচন ঘটে।

সুপারিশমালা

জৈব নিয়ন্ত্রণ

নিম বীজের শাঁসের নির্যাস বিছার বিকাশের প্রাথমিক ধাপে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই, শাঁসের নির্যাস ৫ শতাংশ হারে ১ লিটার জলে মিশিয়ে দ্রবণ তৈরী করুন।

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ

সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। যদি কীটনাশকের প্রয়োজন হয় তবে ক্লোরোপাইরিফস সমৃদ্ধ রাসায়নিক পত্রপল্লবে ছিটানো যেতে পারে। মনে রাখবেন, মানব স্বাস্থ্য এমনকি অন্যান্য স্তন্যপায়ী, মৌমাছি, মাছ এবং পাখির উপরে এ রাসায়নিকগুলোর খুবই বিষাক্ত প্রভাব রয়েছে।

এটা কি কারণে হয়েছে

কলার লোমযুক্ত বিছা পোকার মথ নিশাচর স্বভাবের। একারণে পূর্ণাঙ্গ পোকা শুধুমাত্র সন্ধ্যার শেষ দিকে ও রাতে দেখা যায়। পূর্ণাঙ্গ হৃষ্টপুষ্ট পোকার সামনের পাখা ঘন দাগযুক্ত ধূসর রঙের এবং পিছনের পাখা গোলাপী রঙের হয়। বিছাগুলো কালো রঙের হয়, মাথা বাদামী রঙের এবং সারা শরীরে লম্বা লম্বা বাদামী লোম থাকে।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • বালাইয়ের কোন লক্ষণ আছে কিনা নিশ্চিত হতে আপনার কলা বাগান নিয়মিত নিরীক্ষা করুন।
  • সংক্রমণের অগ্রগতি ব্যাহত করতে ডিমের গুচ্ছ, বিছা, সংক্রমিত গাছ বা গাছের অংশবিশেষ হাত দিয়ে তুলে ধ্বংস করুন।
  • নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে আলোক ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে বা বিশাল সংখ্যায় ফাঁদে আটকে মেরে ফেলতে পূর্ণাঙ্গ পোকা আকৃষ্ট করুন।
  • অপরিণত পোকা আকৃষ্ট করার মাধ্যমে গণহারে ফাঁদে ফেলতে জ্বলন্ত আগুনের ফাঁদ ব্যবহার করুন।
  • সংক্রমিত গাছ দূর করুন এবং তাদের পুড়িয়ে ধ্বংস করুন।

প্ল্যান্টিক্স অ্যাপসকে ডাউনলোড করুন