Pericallia ricini
বালাই
বিছাপোকার কারণে এসব লক্ষণ প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে পাতার কোষকলার ক্লোরোফিল উপাদান আঁচড়ে খাওয়াজনিত ক্ষতি দেখা যায়। সময়ের সাথে সাথে পাতার বড় অংশ হালকা বাদামী, স্বচ্ছ স্থানযুক্ত জানালা সদৃশ দেখা যায়। তীব্র সংক্রমণে পত্রমোচন ঘটে।
নিম বীজের শাঁসের নির্যাস বিছার বিকাশের প্রাথমিক ধাপে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই, শাঁসের নির্যাস ৫ শতাংশ হারে ১ লিটার জলে মিশিয়ে দ্রবণ তৈরী করুন।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। যদি কীটনাশকের প্রয়োজন হয় তবে ক্লোরোপাইরিফস সমৃদ্ধ রাসায়নিক পত্রপল্লবে ছিটানো যেতে পারে। মনে রাখবেন, মানব স্বাস্থ্য এমনকি অন্যান্য স্তন্যপায়ী, মৌমাছি, মাছ এবং পাখির উপরে এ রাসায়নিকগুলোর খুবই বিষাক্ত প্রভাব রয়েছে।
কলার লোমযুক্ত বিছা পোকার মথ নিশাচর স্বভাবের। একারণে পূর্ণাঙ্গ পোকা শুধুমাত্র সন্ধ্যার শেষ দিকে ও রাতে দেখা যায়। পূর্ণাঙ্গ হৃষ্টপুষ্ট পোকার সামনের পাখা ঘন দাগযুক্ত ধূসর রঙের এবং পিছনের পাখা গোলাপী রঙের হয়। বিছাগুলো কালো রঙের হয়, মাথা বাদামী রঙের এবং সারা শরীরে লম্বা লম্বা বাদামী লোম থাকে।