Deois flavopicta
বালাই
স্পিটল ম্যাস (গাছ থেকে জলের মতো এক ধরণের নিঃসরণ হলে তা বাতাসের সংস্পর্শে এসে ফোমের মতো দেখতে হয়) উপস্থিতি থেকে গাছে নিম্ফের উপস্থিতি বোঝা যায়। পোষক উদ্ভিদের কাছাকাছি স্ত্রী পতঙ্গ মাটির উপরে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে নিম্ফ বের হয়ে মাটির কাছাকাছি থাকা শিকড় বা কাণ্ডের উপরে বসে গোগ্রাসে খায়। নিম্ফ এবং পূর্ণবয়স্ক স্পিটেলবাগ উভয়েই গাছের প্রাণরস শুষে খায় এবং গাছকে দুর্বল করে ফেলে। নিম্ফ এবং বয়স্ক পোকার খাওয়ার ফলে গাছের ক্ষতি হয় এবং রস শুষে খাওয়ার ফলে গাছ দুর্বল হয়ে যায় এবং গাছের ভেতর বিষাক্ত পদার্থ প্রবেশ করায় যা গাছের প্রাণরস প্রবাহ প্রতিহত করে।
সারারাতের তাপমাত্রার হ্রাস এবং বেশি সময়ের জন্য শীতল তাপমাত্রায় পোকার ডিমের অবস্থান ডিম থেকে বাচ্চা বেরনোর সময়কালকে লক্ষণীয় ভাবে হ্রাস করে। ডিমের এ আগাম পরিস্ফুটন পোকার বংশবিস্তার রোধে সহায়তা করে।
সম্ভবমতো, সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। স্পিটেলবাগের ( ডেপোয়েস ফ্ল্যাভোপিক্টা) আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রবাহমান বালাইনাশক দ্বারা বীজ শোধন করা যেতে পারে।
ফ্রগ হপার যা স্পিটেলবাগ (ডেপোয়েস ফ্ল্যাভোপিক্টা) হচ্ছে এমন একটি পোকা যা অনেক শস্যের ক্ষতি করে, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ধান এবং ভুট্টা। স্ত্রী পোকা পোষক গাছের কাছাকাছি মাটিতে ডিম পাড়ে। ডিম ফোটার পর নিম্ফগুলো দলবদ্ধভাবে মাটির নিকটবর্তী গাছের মূল এবং কাণ্ড খাওয়া শুরু করে। তারা একটি সাদা ফোমের মত তরল “লালার দলা” গঠন করে, যেটি মূলত নিম্ফের শরীর থেকে নিঃসৃত তরলের মধ্যে বায়ুর বুদবুদ গঠনের মাধ্যমে তৈরি হয়। এ লালার দলা হচ্ছে গাছের ঐ স্থানে নিম্ফের খাওয়ার প্রমাণ। মাঠের আশেপাশে পোকার সংবেদনশীল ঘাসের (Bracharia অথবা Axonopus জাত) উপস্থিতি পোকার সংখ্যা বৃদ্ধিতে সহায়ক। পোকা এসব গাছ দ্বারা আকর্ষিত হয় এবং তাদের বিকল্প পোষক হিসেবে জীবনচক্রে সহায়তার জন্য এসব গাছকে ব্যবহার করে।