Stephanitis typica
বালাই
5 mins to read
দূর থেকেও পাতায় সংক্রমণ দেখা যায়। পাতার নিচের পার্শ্বে পূর্ণাঙ্গ ও অপূর্ণাঙ্গ পোকা অবস্থান করে, যেখানে তারা দলবদ্ধভাবে বাস করে এবং পাতা খায়। পোকাগুলো সর্বাধিকভাবে মধ্যশিরার চারদিকের পাতার রস খায়। ছোট ছোট, সাদা, হলুদাভ দাগ হিসেবে পাতার উপরের পৃষ্ঠে খাবারজনিত ক্ষতি দেখা যায়। এ পোকা পাতার নিচের পৃষ্ঠে কালো রঙের বর্জ্য ত্যাগ করে। আবাসস্থল হলুদ থেকে বাদামী হয় এবং শুকিয়ে যায়। গাছের বৃদ্ধি থমকে যায় এবং তাদের দেখতে রোগাক্রান্ত মনে হয়।
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় স্টেথোকোনাস প্রিফেকটাস এর মত শিকারী পোকার প্রজাতি ব্যবহারের মাধ্যমের সংক্রমণ হ্রাস করা যেতে পারে। সংক্রমণ দমনে নিমের তেল ও রসুন (২ শতাংশ হারে) এর দুগ্ধবৎ নির্যাস পত্রপল্লবে ছিটানো যেতে পারে।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। এ রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের সবচেয়ে সাধারণ পথ হচ্ছে কীটনাশকের ব্যবহার। ডাইমেথোয়েট সমৃদ্ধ রাসায়নিক পত্রপল্লবে ছিটানো যেতে পারে। এসব রাসায়নিক এমনভাবে ছিটাতে হবে যেন পাতার নিচের পৃষ্ঠে গিয়ে পড়ে।
পূর্ণাঙ্গ পোকা আকারে প্রায় ৪ মিমি. হয়, রঙ হলুদ থেকে সাদাটে হয় এবং স্বচ্ছ, ঝালরযুক্ত লেসের মত পাখা থাকে। স্ত্রী বিটল পাতার নিচের পৃষ্ঠে প্রায় ৩০ টি ডিম পাড়ে। প্রায় ১২ দিন পর ডিম ফুটে নিমফ বের হয়। বিকাশের পর্যায় প্রায় ১৩ দিন স্থায়ী হয়। বর্তমানে, কলার লেস উইং গান্ধী পোকার সংক্রমণ জনিত ফলনের হ্রাসের বিস্তারিত তথ্য নেই। এ বালাইয়ের কারণে কলা গাছের তীব্র ক্ষতি সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত কোন প্রতিবেদন নেই।