Epinotia aporema
বালাই
এপিনোশিয়া অ্যাপোরেমার কীড়া অঙ্গজ অংশ খেয়ে নষ্ট করে, যেমন পাতা এবং ডগা তারপর মুকুল এবং বাড়ন্ত অংশ। কীড়া পোকা খাওয়ার কারণে ফুল এবং মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফলে বীজের উৎপাদন ব্যাহত হয়, যা আলফালফা, গোখাদ্য, শিম এবং পদ্ম-র ক্ষেত্রে বেশি লক্ষ্য করা যায়।
যদি পাওয়া যায় তবে জৈব নিয়ন্ত্রনের জন্য অনুমোদিত এপিনোশিয়া অ্যাপোরেমা গ্রেনুলোভিরাস (ইপেপ জিভি) ব্যবহার করুন। পোকার কীড়া খাওয়ার ফলে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়। অথবা কীড়া দমনে ব্যাসিলাস থিউরিনজেনসিস ব্যবহার করুন।
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। কীড়ার প্রাদুর্ভাব কমাতে সাধারণ কীটনাশক ব্যবহার করুন। সক্রিয় উপাদান পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করে দমন ব্যবস্থা সমুন্নত রাখুন।
অংকুরোদ্গমের পর থেকে ফসল পরিপক্ক হবার আগে পর্যন্ত এই পোকার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। বপনের আনুমানিক প্রায় ৩০ দিন পর থেকে সাধারণত এই পোকার কীড়ার আবির্ভাব দেখা যায়। এরা হলদে থেকে হালকা সবুজ রঙের হয় এবং মাথা কালো ও পেটের প্রথম অংশ কালো রঙের হয়। এদের ত্বকে সুস্পষ্ট ছোট ছোট শুঙ্গা থাকে। এদের প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি ছোট ক্রচেট যুক্ত পা থাকে। পরিবেশ এবং তাপমাত্রার উপর ভিত্তি করে এদের আয়ুষ্কাল ৩৩ থেকে ৪৬ দিন পর্যন্ত হয়। শীতপ্রধান দেশে ৩১ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে এরা সারা বছর সক্রিয় থাকে এবং এসময় তারা পাঁচ থেকে ছয় প্রজন্ম অতিবাহিত করে।