Sternechus subsignatus
বালাই
উদ্ভিদের দৈহিক বৃদ্ধির শুরুর দিকে, স্টারনেকাস সাবসিগনেটাস কীড়া এবং পূর্ণবয়স্ক উইভিল কচি কোষকলা খেয়ে থাকে। স্ত্রী পোকা বোঁটার সাথে ঝুলে থাকে এবং কাণ্ডকে ঘিরে ক্ষতিগ্রস্ত কোষকলায় ডিম পেড়ে থাকে। অতঃপর আঁশ এবং কোষকলার অংশবিশেষ দিয়ে ডিমগুলো ঢেকে ফেলে। কীড়াগুলো বের হওয়ার পর সেগুলো কাণ্ডের ভিতর ছিদ্র করে ঢুকে পড়ে এবং নিশ্চল থেকে ভিতরকার কোষকলা খেয়ে থাকে। কীড়াগুলোর দৈহিক বৃদ্ধির সাথে সাথে বাইরে থেকে কাণ্ডের ভিতরকার পিণ্ড দৃশ্যমান হয়ে থাকে।
কোন জৈবিক দমন ব্যবস্থা জানা যায়নি।
সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। ডগার ভিতর অথবা মাটিতে কীড়া থাকাকালীন অবস্থায় ( ৩০ দিনের মধ্যে ) উইভিলের রাসায়নিক দমন সম্ভবপর হয়ে থাকে। বীজ এবং পত্রপল্লবে কীটনাশক প্রয়োগে ফসল সুরক্ষা সম্ভব যদিও এটি স্বল্পমেয়াদি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত এবং পরবর্তীতে বয়স্ক উইভিলের দ্বারা ফসল পুনরায় আক্রান্ত হয়ে থাকে।
ফসলের বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায় থেকে সংগ্রহের সময় স্টারনেকাস সাবসিগনেটাস সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। যখন জমিতে সয়াবিন ফসল না থাকে তখন সেগুলো সুপ্তাবস্থায় চলে যায়। ফসল সংগ্রহের শুরুতে, কীড়া মাটিতে লাফ দিয়ে পড়ে যায় এবং পরবর্তীতে সুপ্তাবস্থায় চলে যায়, মাটির কণা দিয়ে আবরণী তৈরি করে। একটি দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বয়স্ক উইভিলগুলো সুপ্তাবস্থা থেকে বের হয়। উইভিলের জীবনচক্রের বিভিন্ন পর্যায় যেমনঃ পূর্ণবয়স্ক কীড়া এবং ডিম একই সাথে একই উদ্ভিদে অথবা জমিতে দেখতে পাওয়া যায়।