Hedylepta indicata
বালাই
এ বিছাগুলো সাধারণত (সমগ্রভাবে নয়) লিগিউম পরিবারের গাছকে আক্রমণ করে। একটি কিংবা দুটি মোড়ানো পাতা রেশম সুতার সাহায্যে পেঁচিয়ে তার মাঝে সবুজ শুককীট বাস করে। পরবর্তী ধাপে, তারা কয়েকটি পাতার ঘূর্ণন তৈরী করে একত্রে আংশিক খাওয়া পাতা জড়ো করে। তারা পাতার শিরার মধ্যবর্তী কলা খেয়ে বেঁচে থাকে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পাতার বর্হিঃত্বক সাফ হয়ে যায় এবং বাদামী বর্ণ ধারন করে অথবা মারা যায়। যদি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা না হয় তবে পাতা সংকুচিত হয়ে শিরাসমূহ অবশিষ্ট থাকে। আক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়ে গেলে পাতার সংখ্যা কমে যায়, যার ফলে শুঁটি ছোট হয়ে যায় এবং উৎপাদনে প্রভাব ফেলে।
উপদ্রবের পর ট্রাইকোগ্রামা প্রজাতির পরাশ্রয়ী বোলতা জৈবিক দমনের একটি পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যান্য শূককীট জাতীয় পরজীবির মধ্যে রয়েছে ব্রাকিমেরিয়া অভাটা, গ্রোটিঊসোমিয়া নিগ্রিকানস, স্টুরমিয়া আলবিনকিসা, নেমোরিল্লা মাকুলসা এবং আপানটেলেস এবং টক্সোফ্রোইডেসের প্রজাতিসমূহ।
সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। ০.০২% সাইপারমেথ্রিন, ০.০২% ডেকামেথ্রিন সমৃদ্ধ কীটনাশক পাক্ষিক বিরতিতে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
হেডিলাপ্টা ইন্ডিকাটা মথ-এর শূককীটের কারনে ক্ষতি হয়। পূর্ণবয়স্করা ক্ষীণ বাদামী বর্ণের হয়ে থাকে এবং তাদের পাখার প্রসারিত দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ মি.মি. হয়। সামনের পাখা সোনালী অথবা হলদে বাদামী বর্ণের হয়, ৩টি আঁকাবাঁকা রেখা এবং কিছু গাঢ় দাগ দেখা যায়। পেছনের পাখায় রেখাগুলোর সংখ্যা কমে ২টি হয়। স্ত্রী মথ আবাসী উদ্ভিদের কচি পাতা কিংবা অংকুরে একটি করে ডিম পাড়ে। এদের বিছা হালকা সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে এবং তাদের মাথা হালকা বাদামী বর্ণের হয়ে থাকে। ভাঁজ করা পাতা রেশমের সাথে একত্রে বুনে তারা বাস করে এবং খায়। মাটিতে ছড়ানো খড়ে রেশমের গুটির মাঝে পুত্তলিতে পরিনত হয়। শিম পাতার ওয়েবারের ব্যাপক আবাস ব্যাপ্তি আছে যার মধ্যে লিগিউম পরিবার, লাল বীট এবং ভুট্টা অন্তর্ভুক্ত। এটাকে গুরুত্বপূর্ণ বালাই হিসেবে বিবেচনা করা হয় না এবং এজন্য দমনব্যবস্থারও প্রয়োজন হয় না।