Anticarsia gemmatalis
বালাই
ভেলভেটবীন মথ-এর বিছা তার আবাসের পাতায় আক্রমন করে। প্রথমে শূককীট নরম টিস্যু খেয়ে বেঁচে থাকে। বৃদ্ধ ইন্সটারগুলো পাতার শিরাসহ সমগ্র পাতা খেয়ে ফেলে। পরবর্তী ধাপে, শুককীট কুঁড়ি, শিমের ছোট পড এবং কান্ড খেয়ে বাঁচে। এরা রাতের বেলা বেশি সক্রিয় হয়। সংখ্যায় এরা অনেক হয়ে থাকে এবং যদি নিয়ন্ত্রন না করা হয় তবে এক সপ্তাহের মধ্যেই তারা শীম বা অন্য লিগিউম শস্যের পাতা ঝরিয়ে দিতে পারে।
ভেলভেটবীন মথকে নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রাকৃতিক শত্রু ব্যবহার করুন, যেমন বোলতার কিছু প্রজাতি ইউপ্লেকট্রাস পাটলেরী এবং মেটেওরাস ওটোগ্রাফী। অন্যান্যা শিকারিদের মাঝে আছে গ্রাউন্ড বিটেল, টাইগার বিটেল, রেড ফায়ার এন্ট। মেরুদন্ডী শিকারী যেমন পাখি, ব্যাঙ এবং ইঁদুর ভেলভেটবীনের সংখ্যা কমায় অথবা ব্যাসিলাস থুরিঞ্জিনেসিস-এর মত ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এই ভেলভেটবীনকে কমানো যায়।
সম্ভমবমতো, সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। কীটনাশকের মাধ্যমে রোগের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করলে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
এন্টিকারসিয়া জিম্মাটালিস-এর দুটি পাখার মধ্যবর্তী দূরত্ব ৩০-৪০ মি.মি.। সম্মুখের পাখা ধূসর ছাই থেকে হালকা হলদে-বাদামী থেকে গাঢ় লালচে বাদামী বর্নের হয়। পেছনের পাখা হালকা বাদামী বর্ণের হয় এবং প্রান্তে সারিবব্ধ হালকা বর্ণের দাগ থাকে। সবগুলো পাখা যখন ছড়ানো থাকে তখন কিছু তির্যক রেখা দেখা যায়। ডিমগুলো কিছুটা ডিম্বাকৃতির, পাঁজরাকৃতি এবং সাদা বর্ণের হয় । তারা এককভাবে পাতার নিচের পৃষ্ঠে ডিম পাড়ে। তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে ডিম ফুটে যায় এবং শূককীট সেই ডিমের খোসা খায়। ভেলভেটবীন মাথের শূককীট বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে এবং সমগ্র ইন্সটার পর্যায়ে দাগাংকিত থাকে। কচি ইন্সটারগুলোকে ভুলক্রমে সয়াবিন লুপার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এদের পিউপাগুলো হালকা সবুজ থেকে বাদামী বর্ণ ধারন করে এবং প্রায় ২০ মি.মি. লম্বা হয়। এটা মাটির নিচে বসবাস করে। গ্রীষ্মে তারা ৪ সপ্তাহে জীবনচক্র সম্পন্ন করে। তাপমাত্রা কমে গেলে জীবনচক্র সম্পন্ন করতে সময় বেশি লাগে। প্রতিবছর এদের প্রজন্মের সংখ্যা এলাকার উপর নির্ভর করে তারতম্য ঘটে ।