সয়াবিন

সয়াবিনের লেদা পোকা

Spodoptera eridania

বালাই

সংক্ষেপে

  • পাতায় আক্রমণে শুধু কংকালসার অংশ রয়ে যায়।
  • শুঁটির মধ্যে গর্ত থাকে।
  • পাতায় গাদা করে ডিম পাড়ে, সবুজাভ ডিম সাদাটে আঁশ দ্বারা ঢাকা থাকে।
  • কীড়াপোকার দেহ হয় কালো এবং দেহে কালো রেখা থাকে।
  • মাথা হয় লালচে বাদামী।

এখানেও পাওয়া যেতে পারে

1 বিবিধ ফসল

সয়াবিন

উপসর্গ

পাতার নিচের পাশে গুচ্ছ আকারে সবুজাভ ডিম শরীরের সাদাটে আঁশ দ্বারা ঢাকা থাকে। লার্ভা/ বিছা রাতের বেলায় খায় এবং সাধারণত পাতার নিচের দিকে পাওয়া যায়। তারা শিরার শক্ত অংশ বাদে পাতার টিস্যু খায় যা পাতাকে কাঠামোর মত রূপ দেয়। যদি খাবারের ঘাটতি দেখা দেয় তবে তারা কচি ডগা এবং শুঁটি/ফলকে ছিদ্র করে ফেলে। মারাত্মক আক্রমণে চারাগাছ পাতাশূণ্য হয়ে যায়।

সুপারিশমালা

জৈব নিয়ন্ত্রণ

সয়াবিনের লেদাপোকার আক্রমণ কমাতে প্রাকৃতিক শত্রুদের ব্যবহার/উৎসাহিত করুন। উদাহরণস্বরূপ কোটেসিয়া মার্জিনিভেনট্রিস (Cotesia marginiventris), চেলোনাস ইনসুলারিস (Chelonus insularis), ম্যাটিওরাস অটোগ্রাফি (Meteorus autographae), ম্যাটিওরাস ল্যাফিগমি (M. laphygmae) বা ক্যাম্পোলেটিস ফ্ল্যাভিসিঙ্কটার (Campoletis flavicincta) মত পরজীবী বোলতা ব্যবহার করতে পারেন। অন্যান্য উপকারী পোকার মধ্যে রয়েছে লেসউইং এবং লেডিবার্ড বিটল। কিছু পাখিও পূর্ণাঙ্গ মথকে খেয়ে ফেলে। বিউভারিয়া ব্যাসিয়ানা (Beauveria bassiana) ছত্রাক দ্বারাও লার্ভা/বিছাকে সংক্রামিত করার চেষ্টা করতে পারেন।

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ

সম্ভমবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। সয়াবিনের লেদাপোকা দমনের জন্য পত্রপল্লবে কীটনাশক ছিটিয়ে দিন। লার্ভা/বিছার ক্ষেত্রে বিষক্রিয়া অনুসারে কীটনাশকের ভিন্নতা দেখা যায়। এ বালাই দমনে এসিলিপ্রিন (acelepryn) এবং কৃত্রিম পাইরিথ্রয়েড (pyrethroids) গ্রুপের কীটনাশক ব্যবহৃত হয়।

এটা কি কারণে হয়েছে

পরিপূর্ণ মথগুলো ধূসর-বাদামী রঙের হয়। যাদের সামনের পাখা/ডানা বাদামী রঙ চিহ্নিত এবং পিছনের পাখা/ডানা সাদা ও ঈষৎ স্বচ্ছ হয়। লার্ভা/বিছা প্রথমে ছড়ানো ছিটানো ঘন দাগযুক্ত কালচে সবুজ হয় এবং মাথা সম্পূর্ণভাবে লালচে বাদামী থাকে। তাদের পেট এবং পার্শ্বদেশ বরাবর সাদা দাগ থাকে, যা সময়ের সাথে সাথে প্রকট হয়। পরবর্তী পর্যায়ে তাদের ত্বক গাঢ় রঙ ধারণ করে। পিঠ বরাবর কালো রঙের ত্রিভুজের দুটি সারি এবং প্রথম খন্ডে একটি গাঢ় রঙের বলয় দেখা যায়। এদের বংশবৃদ্ধির জন্য সর্বোত্তম তাপমাত্রা হল ২০-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে জীবনচক্র থেমে যায়।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • ঐসব স্থানের বীজ ব্যবহার করুন যা বিগত তিন মাস বালাই মুক্ত ছিল।
  • রোগমুক্ত প্রত্যয়িত বীজ ব্যবহার করুন।
  • জমি নিরীক্ষা করতে ও মথ ধরতে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করুন।
  • ডিম বা বিছা আক্রান্ত অংশ সরিয়ে ফেলুন।

প্ল্যান্টিক্স অ্যাপসকে ডাউনলোড করুন