বাঁধাকপি

বাঁধাকপির সাদা প্রজাপতি

Pieris brassicae

বালাই

সংক্ষেপে

  • বাইরের ভাগের পাতায় বড় ছিদ্র সৃষ্টি করে।
  • পাতার অভ্যন্তরে বা বাঁধাকপির মধ্যভাগে নীলাভ-সবুজ বর্ণের মলমূত্র ত্যাগ করে।
  • শুঁয়োপোকা এবং এগুলোর মলমূত্র প্রায়শই বাঁধাকপিতে পাওয়া যায়।

এখানেও পাওয়া যেতে পারে

1 বিবিধ ফসল

বাঁধাকপি

উপসর্গ

বাইরের দিকের পাতাগুলোতে ক্ষতির ধরন সুস্পষ্ট বোঝা যায় । মাঝখান বরাবর বাঁধাকপিটি কাটলে বাহিরের পাতায় ছিদ্রগুলোর পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ পাতায় ক্ষত দৃশ্যমান হয়। শুঁয়োপোকা এবং এগুলোর মলমূত্র প্রায়ই কপিতে পাওয়া যায়। বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রাসেলস স্প্রাউটস, স্যুইড এবং শালগমসহ সমস্ত ধরণের ব্রাসিকা ফসল এ ধরনের পোকা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া কিছু আগাছাও সংক্রামিত হতে পারে।

সুপারিশমালা

জৈব নিয়ন্ত্রণ

এ ধরনের পোকা পরজীবী দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, কোটেসিয়া গ্লোমেরাটা, পি. ব্রাসিকের লার্ভা আক্রমণ করে আবার টেরোমালাস পিউপ্যারাম পোকার পিউপা পর্যায়ে আক্রমণ করে। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ব্যাকটিরিয়াম, ব্যাসিলাস থিউরেঞ্জিয়েনসিস বা স্যাকারোপলিস্পোরা স্পিনোসা (স্পিনোস্যাড) সংগঠিত পণ্যগুলো পাতার উপরের এবং নীচের পৃষ্ঠে ভালভাবে স্প্রে করা হলে এগুলো খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। এ সকল কীটনাশক পরিবেশে অবিচল থাকতে পারে না। এক ধরনের বালাইনাশক নেমাটোড যেমন স্টেইনার্নিমা কার্পোক্যাপসি, শুঁয়োপোকার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারেন তবে পাতা আর্দ্র থাকা অবস্থায় উদাহরণস্বরূপ শীতল নিস্তেজ আবহাওয়ার সময় অবশ্যই ব্যবহার করবেন ।

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ

সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। সক্রিয় উপাদান পাইরিথ্রাম, ল্যামডা-সাইহালোথ্রিন বা ডেল্টামেথ্রিনের সংগঠিত পণ্যগুলো শুঁয়োপোকার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারেন। পাইরিথ্রামের নির্যাস বেশ কয়েকবার এবং ফসল কাটার আগে একদিন পর্যন্ত প্রয়োগ করতে পারেন। ল্যামডা-সাইহালোথ্রিন এবং ডেল্টামেথ্রিনের জন্য সর্বাধিক ২ বার প্রয়োগের সুপারিশ করা হচ্ছে এবং ফসল কাটা থেকে বিরত থাকার সাত দিনের ব্যবধানটি অনুসরণ করুন।

এটা কি কারণে হয়েছে

প্রজাপতির একটি কালো দেহ এবং উজ্জ্বল সাদাবর্ণের সামনের ডানাতে স্পষ্টতই কালো টিপ (এবং স্ত্রী পোকার ক্ষেত্রে দুটি কালো বিন্দু) রয়েছে । পিউপা ধাপ থেকে বের হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে, স্ত্রীপোকা পাতার নিচে সবুজাভ হলুদ বর্ণের ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে বের হওয়ার পরে, শুঁয়োপোকা বাঁধাকপির কোষকলা খাওয়া শুরু করে। শুঁয়োপোকা বাঁধাকপির মধ্যভাগ পর্যন্তও চলে যেতে পারে ।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • রোগের লক্ষণ সনাক্তকরণের জন্য নিয়মিত জমি পর্যবেক্ষণ করুন, বিশেষত পাতার নিচে ভালোভাবে লক্ষ্য করুন।
  • পোকার ডিমের গুচ্ছযুক্ত কোনও পাতা অপসারণ করুন।
  • হাতে নাতে পাতা থেকে শুঁয়োপোকা ধরুন এবং অপসারণ করুন।
  • কীট-বিরোধী জাল দিয়ে বাঁধাকপিকে আচ্ছাদন করুন কেননা এটি ডিম পাড়তে স্ত্রীপোকাকে বাধা দেবে।
  • কীটনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করুন কেননা এটি উপকারী পোকামাকড় এবং পাখিকে প্রভাবিত করতে পারে।
  • বাঁধাকপি ক্ষেতের কাছে সংবেদনশীল গাছ লাগানো থেকে বিরত থাকুন।
  • আগাছা বিকল্প বাহক রূপে থাকতে পারে তাই সেগুলোও অপসারণ করুন ।

প্ল্যান্টিক্স অ্যাপসকে ডাউনলোড করুন