Chrysomelidae
বালাই
পূর্ণাঙ্গ কীট পাতা থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে। ক্ষতি হিসাবে পাতায় বিক্ষিপ্ত ছোট বর্তুলাকার গর্ত (১-২ মিলিমিটার), এবং চিবিয়ে খাওয়ার ফলে সৃষ্ট ছোট গর্ত দেখা যায় কিন্তু তা পাতাকে আড়াআড়ি কেটে ফেলে না। ক্ষতিগ্রস্ত পত্রকোষের চারিদিকে সামান্য হলুদ ভাব দেখা যেতে পারে। কন্দের গায়ে প্রজাতির রকমভেদে বিভিন্ন আকারের অপ্রশস্ত, সোজা সুড়ঙ্গপথ কাটা দেখা যায়। এছাড়াও ক্ষতি হিসাবে কন্দের গায়ে ছোট্ট উত্থিত অংশ দেখা যেতে পারে।
লেস উইং-এর লার্ভা (Chrysopa spp.), পূর্ণাঙ্গ ড্যামসেল বাগ (Nabis spp.) এবং কিছু পরজীবি বোলতা পূর্ণাঙ্গ ফ্লী বিটল-কে খেয়ে ফেলে অথবা মেরে ফেলে। কিছু নেমাটোডও মাটিতে থাকা লার্ভাকে মেরে ফেলে। ছত্রাকঘটিত জীবাণু, কীটনাশক সাবান বা ব্যাকটেরিয়া থেকে প্রস্তুত কীটনাশক স্পিনোস্যাড এ কীটের বংশবৃদ্ধিকে হ্রাস করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। যখন এই কীট পাতার উপরে আবির্ভূত হয়ে আক্রমণের জন্যে প্রস্তুত হয় তখন কীটনাশক প্রয়োগ করা উচিৎ। অ্যাসিটামিপ্রিড, ম্যালাথিয়ন সমৃদ্ধ দ্রব্য এ কীটের বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে ভালো কাজ করে।
ফ্লী বিটলের অনেক প্রজাতির দেখা মেলে যেগুলো বিভিন্ন উদ্ভিদের ক্ষতিসাধন করে। তবে অধিকাংশ পূর্ণাঙ্গ কীট আকারে ছোট (প্রায় ৪ মিলিমিটার), গাঢ় বর্ণের, মাঝেমাঝে চকচকে ও ধাতব পদার্থ দিয়ে তৈরি বলে মনে হয়। এদের দেহ হয় ডিম্বাকৃতি ও লাফ দেওয়ার জন্যে পিছনের পা বড় হয়। কীড়া (লার্ভা) মাটিতে বাস করে এবং উদ্ভিদের শিকড় বা কন্দ অংশ থেকে খায়, অন্যদিকে পূর্ণাঙ্গ কীট কচি উদ্ভিদ থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে। অধিকাংশ ফ্লী বিটল্ জমিতে যত্রতত্র পড়ে থাকা উদ্ভিদের অবশিষ্টাংশের মধ্যে বা আগাছার মধ্যে শীতঘুম কাটায়। এরা বসন্তকালে আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে। প্রজাতিভেদে এবং আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে, ১ থেকে ৪টি প্রজন্ম পর্যন্ত প্রতি বছরে বৃদ্ধি পায়। ফ্লী বিটল্ উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া পছন্দ করে।