Polyphagotarsonemus latus
মাকড়
এ মাকড় দ্বারা যে ক্ষতি হয় তা আগাছানাশকের এবং অপুষ্টিজনিত ক্ষতির অনুরূপ। পাতা কুঁকড়ে যায়, মোটা হয়ে যায় এবং খয়েরী বর্ণ ধারন করে। পাতার নিচের দিকে প্রধান শিরার মধ্যবর্তী স্থানে ছিপির ন্যায় খসখসে বাদামী এলাকার অস্তিত্ব দেখা যায়। ফুল ফোটা বন্ধ হয়ে যায় এবং প্রায়ই কচি পাতার বিকৃতি ঘটে। যখন উদ্ভিদের ঘনত্ব বেড়ে যায় তখন বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায় এবং কাণ্ড মারা যায়।মাকড়শার ভোজনের কারনে ফলে রূপালী প্রলেপ দেখা যায় এবং ছিপির ন্যায় খসখসে খয়েরী এলাকা দেখা যায়।
আক্রমণ দেখা দিলে, নিওসেইউলুস কিউকুমেরিস ও এম্বলাইসেইয়াস মনটডোরেনসিসের মত বৃহৎ মাকড়শাকে নিয়ন্ত্রনের জন্য প্রাকৃতিক শিকারী পোকা ব্যবহার করুন। রসুন কিংবা কীটনাশক সাবান ব্যবহার করতে পারেন। ছোট চারাগাছ গরম জলে শোধনের (৪৩-৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১৫ মিনিট ধরে) মাধ্যমে মাকড়শার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।
যদি সহজলভ্য হয় সবসময় প্রতিষেধকমূলক ব্যবস্থার সাথে জৈবিক দমনের সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কেবলমাত্র উচ্চমাত্রার কীট আক্রমণের ক্ষেত্রে রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করুন। মাকড়শার ছোট জীবনচক্রের কারনে তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে যার কারনে তাদের রাসায়নিকভাবে দমন করা কঠিন। যদি মাকড়নাশক আসলেই প্রয়োজন হয় তবে অ্যাবামেকটিন, স্পিরমেসিফেন অথবা পাইরিডিন সমৃদ্ধ দ্রব্যাদি স্প্রে করুন।
বড় মাকড়সা কচি পাতা ও কুঁড়ি ছিদ্র করে এবং ক্ষতস্থান থেকে নিঃসৃত রস চুষে নেয়। তাদের লালাতে উদ্ভিদ হরমোন জাতীয় পদার্থ থাকে যা টিস্যুর বিকৃতি ঘটায়। মাকড়গুলো খুব ছোট থাকে এবং তাদেরকে খালি চোখে দেখা যায় না। পূর্ণবয়স্করা প্রায় ০.২ মি.মি. লম্বা এবং ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে। এর বর্ণ হলুদ এবং সবুজের মাঝে হয়ে থাকে। পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী মাকড় প্রতিদিন পাতার নিচের দিকে অথবা ফলের গর্তে প্রায় ৫টি করে ডিম পাড়ে। ২-৩ দিনেই ডিম ফুটে শূককীট বের হয়। মাকড়শার বিস্তৃতি ধীরে ঘটে যদি না তারা বাহক হিসেবে কীটপতঙ্গ ব্যবহার করে কিংবা বাতাসের সাহায্যে বিস্তৃত হয়। এ প্রজাতিটি উষ্ণ-আর্দ্র আবহাওয়ায়, যেমন গ্রীণহাউসে, সতেজ থাকে ।