Eriophyidae
মাকড়
ছোট ছোট অসংখ্য গুটি (বা গল ) পাতায় উপরের তলে দেখা যায়। গল মাইটসের প্রজাতিগুলোর উপর নির্ভর করে পাতার কিনারাগুলো মোটা হতে পারে। চুলের অত্যধিক বৃদ্ধির ফলে পাতার নীচের দিকের অংশে মখমলের পশমী জন্মায়। গলের রং হলুদ থেকে লালে বিস্তৃত হতে পারে। অঙ্কুর খর্বকায় হয় এবং কাঁটা বড় হতে পারে। মাইটস পাতা খাওয়ার ফলে পাতার উপরের ত্বকে শক্ত কাঠামো দেখা দেয়। গাছগুলোর অঙ্কুরগুলো "উইচেস ব্রুম" এর মত প্রদর্শিত হতে পারে। এছাড়াও ব্রোঞ্জের মত রঙ পাতার উপর দেখা যেতে পারে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে, যদি গুরুতরভাবে আক্রান্ত না হয়, তবে কোন দমন ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় না শুধু ক্ষতিগ্রস্ত গাছের অংশগুলো আপসারন করতে হবে। জীবাণু সংক্রমিত বস্তুর দ্বারা কাটা ক্ষতি, মাকড়ের চেয়ে আরও ক্ষতিকর হতে পারে।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। এবামেকটিন বা বাইফেনথ্রিরিন সংগঠিত কীটনাশক/মাকড়নাশক স্প্রে করে আক্রমন থেকে গাছকে রক্ষা করা যেতে পারে। জলে দ্রবণীয় সালফারের স্প্রে প্রদান করা পারে, তবে এতে উপকারী জীবাণুর ক্ষতি হতে পারে।
অতি ক্ষুদ্র আকারে সাধারণত ০.২ মিমি এর চেয়ে ছোট মাকড় যা প্রধানত বেরি ফলে আক্রমণ করে, ফল গাছ বা আখরোট গাছেও আক্রমণ করতে পারে। বিশেষ ধরণের এ মাকড়ের শরীর বৃহদায়তনের হয় এবং দুই জোড়া পা থাকে, কিন্তু অন্যান্য মাকড়ের চার জোড়া পা থাকে। এরা বক্ষ বা বাকলের নীচের অংশে শীতাবস্থা কাটায় এবং বসন্তে ডিম পাড়ে। এরা পাতার রস চুষে খায় এবং রস চুষে খাওয়ার সময় পাতার কোষকলায় এক ধারনের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসৃত করে যা পরবর্তীতে গল তৈরী করে। এ গলগুলো খাদ্যপ্রানে ভরপুর থাকে এবং মাকড় তা খেয়ে বেঁচে থাকে। তারা সাধারণত বাহক উদ্ভিদে গুরুতর কোন ক্ষতি করে না।