Sugarcane grassy shoot phytoplasma
ব্যাকটেরিয়া
প্রথম লক্ষণ ফসলের ৩-৪ মাস বয়স হলেই দেখা যায় যখন চারা খুব কচি থাকে। কচি পাতা ফ্যাকাশে বর্ণের হয়ে যায় এবং পাতলা ও সরু দেখতে লাগে। রোগটি বাড়ার সাথে সাথে সমস্ত নতুন কুশি সাদা বা হলুদ বর্ণযুক্ত হয়ে বৃদ্ধি পায়, যা গাছকে ঘাসের চেহারা উপহার দেয়। আক্রান্ত গোছা থেকে যে সব কুশি বের হয় অকাল বয়সে তা খর্বাকৃতির হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে সংক্রমণ হলে পার্শ্ব কুশি বের হয় এবং হলুদ দেখায়। সাধারণত, সংক্রামিত বীজ খণ্ড থেকে জন্মানো রোগাক্রান্ত গাছ মাড়াই যোগ্য কোন আখ উৎপাদন করতে পারে না এবং মুড়ি আখের ক্ষেতে আক্রান্ত গোছা থেকে কুশি গজায় না, ফলে জমিতে শূন্য স্থানের সৃষ্টি হয়। যদিও বা আখ গঠিত হয়, তবে এগুলির নিচের পর্বগুলিতে বায়বীয় শিকড় হয় এবং খাটো ধরনের মধ্য পর্ব থাকে এবং আখ চিকন হয়। এই জাতীয় আখে কুঁড়ি সাধারণত পাতলা কাগজের মত থাকে এবং অস্বাভাবিকভাবে লম্বা হয়।
এ রোগ সরাসরি দমন করা সম্ভব নয়। তবে জাব পোকা আখের গ্র্যাসি শুট রোগের প্রধান ভেক্টর হওয়ায় এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। স্বল্প আক্রমণের ক্ষেত্রে ভেষজ তেল বা কীটনাশক সাবান ব্যবহার করুন।
সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। সরাসরি এ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কোনও রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ নেই, তবে বিপুল সংখ্যক জাবপোকা বা পাতা ফড়িং পাওয়া গেলে কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। ডাইমেথোয়েট (@ ১ মিলি / লিটার জল) বা মিথাইল-ডেমিটোন (@ ২ মিলি / লিটার জল) (জাবোকা দমনের জন্য) মাসিক ব্যবধানে দু'বার স্প্রে করা যায়।
ফাইটোপ্লাজমা নামক ব্যাকটিরিয়া জাতীয় জীবাণু দ্বারা এ রোগ হয়। ফাইটোপ্লাজমার প্রাথমিক সংক্রমণ হয় আক্রান্ত বীজ খণ্ড (সেট) থেকে। দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ হয় ফ্লোয়েম থেকে পোকামাকড়ের খাদ্য গ্রহনের মাধ্যমে, বিশেষত পাতার শোষক পোকার মাধ্যমে এবং জাব পোকা এবং ডডার পরজীবী গাছের মাধ্যমে। যান্ত্রিকভাবেও যেমন আখ কাটার ছুরির মাধ্যমেও এ রোগ ছড়িয়ে যায়। জোয়ার এবং ভুট্টা রোগের বিকল্প আবাস। আয়রনের ঘাটতি জনিত লক্ষণের সাথে এর প্রচুর মিল রয়েছে তবে আক্রান্ত চারা জমির ভিতর বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যায় ।