Phytoplasma
ব্যাকটেরিয়া
সংক্রামিত গাছগুলো হালকা হলুদ বর্ণের সাথে ছোট, নরম, পাতলা এবং ত্রুটিযুক্ত পাতা দ্বারা চিহ্নিত করা যায়। কাঁটাবিশিষ্ট জাতের গাছ পত্রবিহীন হয়ে ওঠে এবং অবয়ব হারাতে থাকে। ফসল খর্বাকৃতির হয়, মধ্যপর্ব এবং বোঁটা ছোট হয়। এসকল গাছ সবল গাছের চেয়ে প্রচুর পরিমাণে শাখা এবং শিকড় বিকাশ করে যার ফলে এগুলোকে ঝোপালো চেহারা দেয় এবং তাই এদেরকে জাদুকরীর ঝাড়ু নামেও ডাকা হয়। ফুলের অংশগুলো (ফিলোডি) বিকৃত হয়ে যায় এবং বেশিরভাগ অংশ বন্ধ্যা হয়ে যায়। বিকশিত ফল শক্ত হয়ে যায় এবং পরিণত হতে ব্যর্থ হয়। রোগ বৃদ্ধি পাওয়াতে নতুন বাড়ন্ত পাতাগুলো কেবল তার মূল আকারের ১/৩ – ১-৪ অংশ বৃদ্ধি পায়।
লেসউইং, ডামসেল বাগ, মিনিট পাইরেট বাগের মতো উপকারী কীটপতঙ্গগুলো এই পোকার ডিম এবং লার্ভা উভয় পর্যায়েই শিকারী হিসেবে পরিচিত।
সম্ভবমতো সমম্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন । পোকামাকড়ের ভেক্টর দমন করতে থায়াম্যাথোক্সাম, অ্যাসিটামিপ্রিড, থায়োসাইক্লাম এবং ম্যালাথিয়ন ব্যবহার করুন।
ফাইটোপ্লাজমা নামক ব্যাকটিরিয়া সদৃশ পরজীবীদের দ্বারা এধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। এক গাছ থেকে অন্য গাছে সংক্রমণ বেশিরভাগ পোকামাকড় ভেক্টর/বাহক, বিভিন্ন প্রজাতির পাতাফড়িং, বিশেষত হিশিমোনাস ফাইসিটিসের মাধ্যমে সংঘটিত হয়। এ সংক্রমণ গাছের বৃদ্ধির সমস্ত পর্যায়ে ফসলের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।