ভুট্টা

ভুট্টার পাতায় ব্যাকটেরিয়াজনিত লম্বাদাগ রোগ

Xanthomonas vasicola pv. vasculorum

ব্যাকটেরিয়া

সংক্ষেপে

  • পাতায় বাদামী, তামাটে বা হলুদ রেখা দেখা যায়।
  • পাতার কিনারায় ঢেউ খেলানো হলুদ রঙের রেখা দেখা যায়।
  • পাতার নিচ থেকে উপরের দিকে এ লক্ষণ দেখা যায়।

এখানেও পাওয়া যেতে পারে


ভুট্টা

উপসর্গ

রোগের লক্ষণ প্রথমে ফসলের নিচের অংশে দেখা যায় এবং পরে অনুকূল পরিবেশের উপর নির্ভর করে উপরের দিকে ছড়ায়। পাতায় কমলা-বাদামী বা তামাটে সরু রেখা দেখা যায়। পাতার কিনারায় স্বচ্ছ ঢেউ খেলানো হলুদ রঙের রেখা দেখা যায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে চারার মাঝের বা উপরের পাতায় ক্ষত দাগ দেখা যায়। লক্ষণ সংকর জাতের মধ্যে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। সংকর জাতের ফসলের মধ্যে এ লক্ষণগুলোর বিভিন্নতা দেখা যায় এবং ছোট ক্ষত থেকে ৫০% বা তার বেশি পর্যন্ত পাতার অংশকে আচ্ছাদিত করতে পারে। এটি দানা ভরাট এবং ফলনের উপর একটি প্রভাব বিস্তার করে। এ রোগের আরেকটি লক্ষণ হলো পাতা কাটলে চটচটে পদার্থসহ ব্যাকটেরিয়া দেখা যায়।

সুপারিশমালা

জৈব নিয়ন্ত্রণ

এ রোগের জন্য তেমন কোন কার্যকরী জৈবিক চিকিৎসা নেই। রোগ সংক্রমণ এড়াতে এবং এর প্রাদুর্ভাব হ্রাস করতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আপনি যদি এ রোগ দমনের ব্যাপারে কোন তথ্য জেনে থাকেন অনুগ্রহ করে এ সম্পর্কে আমাদের জানান।

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ

সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। এ রোগের জন্য তেমন কোন কার্যকরী রাসায়নিক চিকিৎসা নেই ।

এটা কি কারণে হয়েছে

এ লক্ষণগুলো জ্যান্থোমোনাস বেসিকলা পিভি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট যা সংক্রামিত ফসলের অবশিষ্টাংশে সুপ্তাবস্থায় থাকতে পারে। এটি ফসলের বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ে বৃষ্টির জল এবং বায়ুর মাধ্যমে সুস্থ ফসলে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও সংক্রামিত ফসলের অবশিষ্টাংশ, জমিতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম, ফসল সংগ্রাহক বা পোকায় খাওয়ার কারণে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটি কোনো পূর্ববর্তী ক্ষত ছাড়াই সরাসরি ফসলের কোষকলায় প্রবেশ করতে পারে। যদি কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করা ছাড়াই একই জমিতে সংবেদনশীল ফসল চাষ করা হয় তাহলে সে জমিতে সংক্রমণ কয়েক বছর ধরে চলতে থাকে । উচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা, ভারী বৃষ্টিপাত এবং দীর্ঘ সময় পাতার ভেজা অবস্থা এ রোগ বিকাশের জন্য সহায়ক। উষ্ণ আবহাওয়ার সময় জলসেচ বা উপরি সেচ প্রয়োগ রোগের বিস্তারকে ত্বরান্বিত করে।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • যদি সম্ভব হয় সহনশীল ও রোগ প্রতিরোধী জাতের চারা রোপণ করতে হবে।
  • বিকল্প আবাসী ফসল বা আগাছা পরিষ্কার করুন।
  • জমিতে কাজ করার সময় সরঞ্জামে লেগে থাকা ফসলের ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করুন।
  • ফসল সংগ্রহের পর ফসলের ভগ্নাবশেষ পরিষ্কার করুন।
  • বিকল্পভাবে, চাষ করে মাটির সাথে মিশিয়ে ফেলুন।
  • আক্রান্ত ফসল পরে সংগ্রহ করুন যাতে অন্য ফসলে রোগবালাই না ছড়ায়।

প্ল্যান্টিক্স অ্যাপসকে ডাউনলোড করুন