Pseudomonas syringae pv. syringae
ব্যাকটেরিয়া
এ রোগের সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য হলো পাতার ফলকের গোড়ায় জল সিক্ত ক্ষত এবং বোঁটায় কালো অংশ দেখা যায়। পরবর্তীতে এ ক্ষত পাতার মধ্য শিরা এবং বোঁটার আশেপাশের শাখায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে পাতা শুকিয়ে কুঁচকে যায় কিন্তু তবুও শাখার সাথে লেগে থাকে। অবশেষে পাতা বোঁটা ছাড়াই ঝরে পড়ে। কচি শাখার ঝলসানো অংশ বাড়তে থাকে এবং পুরোপুরি আক্রান্ত হলে ২০-৩০ দিনের মধ্যে শাখা মরে যায়। নার্সারীর চারা কয়েক দিনের মধ্যে ঝলসে যায় এবং এর লক্ষণ দেখতে ফাইটোপথোরার লক্ষণের ন্যায়। উষ্ণ বা শুকনো মরশুমে আক্রমণ হলে তেমন কোন ক্ষতি হয় না এবং ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যায়। ফলের ত্বকে মাঝে মাঝে ছোট ছোট কালো দাগ দেখা যায়। কমলা লেবু, লেবু এবং মান্দারিন গাছে সবচেয়ে খারাপ লক্ষণ দেখা যায়।
আজ পর্যন্ত এ রোগ দমনের কোন জৈবিক দমন ব্যবস্থা জানা নেই। এ সম্পর্কে আপনার কিছু জানা থাকলে জানানোর অনুরোধ রইলো। কপার সংঘটিত উপাদানের বালাইনাশক যেমন বোর্দো মিশ্রণ স্প্রে করে ব্যবহার গ্রহণযোগ্য এবং এমনকি জৈব ব্যবস্থাপনা করা হয় এমন বাগানেও সুপারিশকৃত।
কপার সংঘটিত উপাদানের বালাইনাশক যেমন বোর্দো মিশ্রণ স্প্রে করে ব্যবহার গ্রহণযোগ্য এবং এমনকি জৈব ব্যবস্থাপনা করা হয় এমন বাগানেও সুপারিশকৃত। ঠাণ্ডা বা আর্দ্র মরশুমের আগে ব্যবস্থা নিন। ফেরিক ক্লোরাইড বা ম্যানকোজেব থেকে কিউপ্রিক হাইড্রোঅক্সাইড ব্যবহারেও ভালো ফল পাওয়া যায়, যদিও এক বছর পর স্ট্রেইন-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
সিউডোমোনাস সিরিঞ্জি পিভি. সিরিঞ্জি নামক ব্যাকটেরিয়া কমলা লেবুর ফোস্কা রোগের জন্য দায়ী, যা কমলার কয়েকটি জাতে আক্রমণ করে। এ ব্যাকটেরিয়া গাছের পাতার উপরে লেগে থাকে এবং দীর্ঘ সময় ধরে আর্দ্র আবহাওয়া বিরাজ করলে সংক্রমিত করে। এরা পাতার প্রাকৃতিক ছিদ্র বা ক্ষত বা আঘাত প্রাপ্ত কাণ্ডের মধ্য দিয়ে কোষ কলায় প্রবেশ করে। বায়ু প্রবাহ, বৃষ্টিপাত, এবং তুষারপাতের কারণে গাছ আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্যাকটেরিয়া সহজে গাছে প্রবেশ করতে পারে। রোগ সংক্রমণের জন্য পাতা বেশ কয়েকদিন দীর্ঘ সময় ধরে ভেজা থাকতে হয়। যে সব কম বয়সী পাতা শীতের আগে পুরোপুরি শক্ত বা পরিণত হয় না সে সব পাতা এ জীবাণুর প্রতি সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল।