Spiroplasma kunkelii
ব্যাকটেরিয়া
5 mins to read
এস. কানকেলি দিয়ে আক্রমণের ফলে প্রথম যে লক্ষণ দেখা যায় তা হলো পাতা নেতিয়ে পড়ে এবং পাতার কিনারা হলুদ হয়ে যায়। বয়স্ক পাতা লাল হওয়ার মাধ্যমে শুরু হয় যা পাতার শীর্ষ থেকে শুরু হয়ে এবং পরে কোষকলায় ছড়িয়ে পড়ে। এ লক্ষণ দেখার ২-৪ দিন পর দেখা যায় কম বয়সী পাতার নিচের দিকে হলুদ দাগ পড়ে। এরা বাড়ার সাথে সাথে দাগ একত্রিত হয়ে শিরা এবং পাতার শীর্ষে হলুদ দাগ তৈরি করে। কম বয়সী গাছে আক্রমণ হলে পাতা বেঁকে গিয়ে ভেঙ্গে যায় এবং গাছের দুই গিঁটের দৈর্ঘ্য খাটো হয়ে যায় ফলে মারাত্মকভাব বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে। অনেকগুলো শাখা এবং কুশি বের হয়, মাঝে মাঝে প্রতি গাছে ৬-৭ টি শাখা দেখা যায় যার ফলে গাছকে দেখতে ঝোপালো মনে হয়। শীষ সাধারণ আকারের চেয়ে ছোট হয় এবং দানা ঠিকভাবে পুষ্ট হয় না এবং মাঝে মাঝে কোন শস্য দানা থাকে না।
এস কুনকেলি দমনে সরাসরি কোন জৈবিক দমন ব্যবস্থা নেই। পরজীবী ছত্রাক যেমন মেটারেজিয়াম এনিসোপ্লি, বিউভেরিয়া বেসিয়ানা, পেসিলোমাইসিস ফিউমোসোরাসেস এবং ভার্টিসিলিয়াম লিকানি ছত্রাকের সংঘটিত উপাদানের জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে পাতার ঘাস ফড়িং পোকার আক্রমণ ব্যাপকভাবে দমন করা যায়।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। এ রোগ দমনে কোন রাসায়নিক ব্যবস্থা নেই। ঘাস ফড়িং পোকা দমনে বালাইনাশকের ব্যবহার করার সুপারিশ করা হয় না। যাইহোক, ঘাস ফড়িং পোকা এবং এ রোগ উভয়ের দমনে প্রতিরোধী ব্যবস্থা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
লক্ষণ ভুট্টার জাত এবং ভূমি থেকে জমির উচ্চতার উপর নির্ভর করে। এর জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়ার মতো দেখতে জীবাণু স্পিরুপ্লাসমা কুনকেলি যা কেবল মাত্র ভুট্টায় আক্রমণ করে। আরো কয়েকটি পাতার ঘাস ফড়িং পোকা যেমন-ডালবুলাস মেইডিস, ডি. এলিমিনেইটাস, এক্সাইটিয়ানাস এক্সিটিউসাস,গ্রামিনেলা নাইগ্রিফন্স এবং স্টাইরিলাস বাইকালার পোকার জীবাণুর সুপ্তাবস্থায় বহন করতে সাহায্য করে। যখন এরা বসন্তের শুরুতে বের হয়ে আসে এবং খেতে শুরু করে তখন জীবাণু স্থানান্তরিত করে। আক্রমণের তিন সপ্তাহ পরে ভুট্টা ক্ষেতে এর লক্ষণ দেখা যায়। অবাক হওয়ার কোন কারণ নেই যে, এ রোগের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি গ্রীষ্মকালে যখন পোকার প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে, এরা বসন্তেও সংক্রমণ ঘটাতে পারে।