Clavibacter michiganensis
ব্যাকটেরিয়া
রোগাক্রান্ত পাতায় শিরার সমান্তরালে তামাটে বর্ণের অনিয়মিত কিনারা বিশিষ্ট লম্বাটে দাগ তৈরি হওয়া এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ। ক্রমশ দাগগুলো একত্রিত হয়ে পাতা ঝলসে যায়। এবং উদ্ভিদের উপরের দিকে অংশ মরে যায় ও শাখাগুলো পচে যায়। দাগগুলোর উপরে কালো বর্ণের, জলছিটে দাগ পড়ে। পাতার কিনারায় মৃত কোষকলা দেখা যায়। পাতার দাগে ব্যাকটেরিয়ার রৌদ্রোজ্জ্বল পুঁজ দেখা যায়। উদ্ভিদের কাণ্ড আক্রান্ত হলে কাণ্ডের পরিবহন কলাগুচ্ছ কমলা রং ধারণ করে। চারা অবস্থায় সংক্রমণ হলে সমস্ত চারা ঝলসে যায়, ক্রমশ নেতিয়ে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চারা মারাও যায়।
এ মুহুর্তে ক্ল্যাভিব্যাকটার মিশিগানেনসিস ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর কোন জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনা নেই। আপনার জানা থাকলে আমাদের জানান। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাই এক্ষেত্রে সর্বোত্তম।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। কিন্তু এ মুহুর্তে ক্ল্যাভিব্যাকটার মিশিগানেনসিস ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর কোন রাসায়নিক বালাই ব্যবস্থাপনা নেই। আপনার জানা থাকলে আমাদের জানান। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাই এক্ষেত্রে সর্বোত্তম।
ক্ল্যাভিব্যাকটার মিশিগানেনসিস ব্যাকটেরিয়া কর্তৃক এ রোগ ছড়ায়। রোগের জীবাণু আক্রান্ত শস্যের খড়কুটো কিংবা অন্যান্য আবাস উদ্ভিদ যেমন হাতিশুঁড়, বার্ণইয়ার্ড ঘাস, বুনো আঁখের অবশিষ্টাংশে সুপ্তাবস্থা পার করে। আক্রান্ত কোষকলা থেকে ব্যাকটেরিয়া বৃষ্টির ছিঁটা, বাতাসবাহী জলসেচের মাধ্যমে ছড়ায়। ঝড়, বালি কর্তৃক জখমকৃত এবং শিলাবৃষ্টির দ্বারা জখম হওয়া পাতাই মূলত গসের নেতিয়ে পড়া রোগ দ্বারা প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত হয়। পাতা সংক্রমণের মাধ্যমে রোগ পরবর্তীতে উদ্ভিদ থেকে উদ্ভিদে ছড়ায়। উষ্ণ তাপমাত্রা (২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) রোগ সংক্রমনের হার বাড়ায়। ভুট্টার মোচা গঠনের সময় লক্ষণ প্রকাশিত হয় এবং এ পর্যায় শেষ হলে রোগের তীব্রতা বাড়ে। রোগ সংবেদনশীল জাত চাষ করলে, স্বল্প চাষ করলে কিংবা এক ফসলী চাষ করলেও রোগ সংক্রমণ বাড়ে।