Burkholderia glumae
ব্যাকটেরিয়া
মাঠ পর্যায়ে এ রোগ বৃত্তাকার আবর্তে ছড়িয়ে পড়ে। গুচ্ছাকারে থাকা শীষে দানাগুলো পরিপুষ্ট হয় না, অন্যদিকে শীষগুলো দানার ভারে যেমন নুয়ে থাকার কথা সেরকম না থেকে সোজা হয়ে থাকে। শীষের মধ্যে আক্রান্ত দানাগুলো অনিয়মিতভাবে বিস্তৃত থাকে। আক্রান্ত শীষের নিচের কাণ্ড সবুজ থাকে। ফুল ধরার সময় ব্যাকটেরিয়া বর্ধনশীল দানাকে আক্রান্ত করে, ফলে দানা ঝরে যায় অথবা পরাগায়নের সময় আক্রমণ হলে দানা পচে যায়। দানার নিচের দিকের দুই তৃতীয়াংশ কিংবা অর্ধেক অংশ বিবর্ণ হয়ে হালকা থেকে মাঝারি বাদামী রং ধারণ করে। অন্যান্য অনুজীব যেমন ছত্রাক অথবা অন্য ব্যাকটেরিয়ার দ্বিতীয় দফার আক্রমণের ফলে দানাগুলো ধূসর, কালো অথবা গোলাপী বর্ণও ধারণ করতে পারে।
আমরা দুঃখিত যে, বারখোলডেরিয়া (Burkholderia spp) নামক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কোন বিকল্প নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে কিনা তা এখনো আমাদের অজানা। যদি আপনি এ রোগের বিরুদ্ধে বিকল্প কোন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োগ করে সফল হয়ে থাকেন, তবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা আপনার কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে চাই।
দুঃখিত, আমরা বারখোলডেরিয়া গ্লুমি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কোন রাসায়নিক দমন ব্যবস্থার কথা জানি না। আপনি যদি এ রোগের বিরুদ্ধে বিকল্প কোন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রয়োগ করে সফল হয়ে থাকেন তাহলে অনুগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন যাতে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায়। আপনার কাছ থেকে সাড়া পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
ব্যাকটেরিয়াজনিত শীষ ঝলসানো রোগ বীজ বাহিত। আক্রান্ত বীজ কিংবা চারা থেকে এ রোগ হয় বলে এর ব্যবহারিক কোন দমন ব্যবস্থা নেই। এ রোগের বিস্তার তাপমাত্রার উপরে নির্ভর করে। ধান গাছের বৃদ্ধি পর্যায়ের শেষের দিকে আবহাওয়া গরম ও শুষ্ক থাকলে এ রোগ বৃদ্ধি পায়। দিনের তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের অধিক এবং রাতের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি অথবা তার বেশী থাকলে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। অতি উচ্চ মাত্রার নাইট্রোজেন সার এ রোগের বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বোরো মরশুমের শুরুতে চারা রোপণ করলে, শীষ গঠন ও দানা পরিপুষ্টিকালে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকে, ফলে ঐসময় এ রোগের প্রাদুর্ভাব কম থাকে।