আখ

ইক্ষুর ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতা ঝলসানো রোগ

Acidovorax avenae

ব্যাকটেরিয়া

সংক্ষেপে

  • ইক্ষুর পাতার প্রধান শিরা বরাবর এবং পাতার গোড়ার দিকে জল-সবুজ রঙের লম্বাটে দাগ সৃষ্টি হয়।
  • লালচে বর্ণের এই লম্বাটে দাগগুলো ক্রমশঃ বড় হয়ে সমস্ত পাতায় ছড়িয়ে পড়ে।
  • পাতাগুলো নেতিয়ে পড়ে এবং পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
  • শিকড়তন্ত্র সীমিত হওয়ায় ইক্ষুর গাছ খর্বাকৃতির হয়।

এখানেও পাওয়া যেতে পারে


আখ

উপসর্গ

মূলতঃ নবীন ও মধ্যবয়স্ক পাতাগুলোতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। লম্বা, সরু, সুষম ও জল-সবুজ রঙের দাগগুলো প্রথমে পাতার প্রধান শিরার কাছাকাছি এবং পাতার গোড়ার দিকে দেখা যায়। পরবর্তীতে দাগগুলো একত্রিত হয়ে সমস্ত পাতায় ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রথমে হালকা লাল এবং পরে ঘন লাল বর্ণ ধারণ করে। পাতাগুলো নেতিয়ে পড়ে; এবং পচে ভীষন দুর্গন্ধ ছড়ায়। পচন বাড়তে থাকলে ইক্ষুর কাণ্ডে মধ্যপর্বগুলোতে গর্তের সৃষ্টি হয়। রোগের শেষ পর্যায়ে ইক্ষু গাছের ডগা এবং পুষ্পমঞ্জরী ভেঙে মাটিতে পড়ে যায়, যাকে “ডিগ পচা” বলা হয়।

সুপারিশমালা

জৈব নিয়ন্ত্রণ

এ রোগের জীবাণু অ্যাসিডোভোরাক্স অ্যাভেনি’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে অন্য কোন বিকল্প ব্যবস্থার কথা জানা নেই।

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ

সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। বীজের প্রাথমিক সংক্রমণ রোধ করার জন্য বীজ বপনের পূর্বে উপযুক্ত ছত্রাকনাশক দিয়ে ১৫-২০ মিনিট বীজ শোধন করে নিন।

এটা কি কারণে হয়েছে

ব্যাকটেরিয়া অধিক তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা পছন্দ করে। আক্রান্ত ইক্ষুর চারা ও মাটির মাধ্যমে প্রাথমিক সংক্রমণ হয়। এ রোগ পরবর্তীতে বাতাস, বৃষ্টির ঝাপটা এবং মাটির মাধ্যমে গৌণ সংক্রমণ ঘটায়।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • পাতা ঝলসানো রোগ প্রতিরোধী সহনীয় ইক্ষুর জাত চাষ করুন।
  • নার্সারি বীজতলা থেকে সুস্থ সবল ইক্ষু চারা সংগ্রহ করুন।
  • সবুজ সার ফসলের সাথে ইক্ষুর শস্য আবর্তন করে চাষ করুন।
  • এ রোগের প্রকোপ কমাতে জমির জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত রাখুন।
  • পরিমিতভাবে নাইট্রোজেন ও অন্যান্য সার প্রয়োগ করুন।

প্ল্যান্টিক্স অ্যাপসকে ডাউনলোড করুন