Leifsonia xyli
ব্যাকটেরিয়া
অধিকাংশ মুড়ি শস্যে এ রোগ পাওয়া যায়। প্রথমদিকে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ব্যাহ্ত হওয়ার সাথে সাথেই এ রোগের সুস্পষ্ট কোন লক্ষণ দেখা যায় না। পর্ব অঞ্চলের আভ্যন্তরীণ নরম কোষকলাতে আলপিনের মাথার মত কমলা রঙের ব্যাকটেরিয়ার ফোঁটা দেখা যায়। পরবর্তীতে বৃদ্ধি ব্যাহত, পাতলা ডাল বিশিষ্ট, খাটো মধ্যপর্ব, মৃদু হলুদাভ বৃক্ষপত্রাবলী এবং শীর্ষের দিকে কাণ্ডে বাঁকাভাব পরিলক্ষিত হয়। আবহাওয়া এবং চারার উপর নির্ভর করে পর্ব হলুদ থেকে লালচে বাদামী রঙের হয়। বিবর্ণতা মধ্যপর্ব পর্যন্ত ছড়ায় না। অতি সংবেদনশীল কিছু জাত আছে যা আর্দ্রতার প্রভাবে নেতিয়ে যায়, এমনকি পাতার কিনারা ও শীর্ষ ঝলসে যায়। উৎপাদন হ্রাস পাওয়া আরও একটি লক্ষণ।
গরম পানিতে শোধনের ১-৫ দিন আগে বীজআখ কাটতে হবে এবং ১০ মিনিট ব্যাপী ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় শোধন করতে হবে। পরের দিন ২-৩ ঘন্টা ধরে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরম পানিতে শোধন করতে হবে। শোধন করার ফলে অঙ্কুরোদ্গমের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে।
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। অ্যামোনিয়াম সালফেট (ammonium sulphate) প্রয়োগে উল্লেখযোগ্য হারে রোগ হ্রাসের সাথে আখ এবং সাদা চিনির উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ৩০ মিনিট ধরে ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম পানির সাথে স্টেপ্টোমাইসিন (streptomycin) প্রয়োগ করলে আংশিকভাবে রোগ প্রতিহত করার সাথে উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
ব্যাকটেরিয়া কয়েক মাস পর্যন্ত উদ্ভিদের পরিত্যক্ত অংশে অথবা মাটিতে বেঁচে থাকতে পারে এবং কেবলমাত্র ক্ষত অংশ দিয়ে উদ্ভিদে প্রবেশ করে। ব্যাকটেরিয়া ক্ষত দিয়ে সহজেই যান্ত্রিক উপায়ে প্রবেশ করে।