Spiroplasma citri
ব্যাকটেরিয়া
রোগের তীব্রতা, পরিবেশ, গাছের বয়স এবং ঋতুর উপর নির্ভর করে লক্ষণের ভিন্নতা দেখা দেয়। সাধারণত গ্রীষ্মকালে লক্ষণগুলো অধিক স্পষ্ট হয় কিন্তু সংক্রমিত গাছ বছরের পর বছর ধরে লক্ষণ প্রকাশ নাও করতে পারে। বৈশিষ্ট্যমূলক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে বৃদ্ধি থমকে যাওয়া, উর্ধ্বমূখী পালকের মত পাতাযুক্ত পাতলা পত্রপল্লব এবং খাটো কাণ্ডের কারণে ঝোপালো হয়ে যাওয়া। নতুন গাছ আকারে ছোট এবং অনুৎপাদী হয় যেখানে পরিণত গাছের একটিমাত্র ডালে লক্ষণ প্রকাশিত হতে পারে। অনিয়মিত ফুল ধারণের কারণে ফলের বৃদ্ধি, আকার এবং পরিপক্বতা অস্বাভাবিক হয়। পাতায় কিছু পরিমাণে ভঙ্গুরতা দেখা যায় যা জিংকের (দস্তা) ঘাটতিজনিত লক্ষণের অনুরূপ।
এ রোগের বিরূদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন জৈবিক দমন ব্যবস্থা সহজলভ্য নয়। এ ব্যাপারে আপনার কোন উপায় জানা থাকলে অনুগ্রহ করে আমাদের জানান।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। এ রোগের জন্য কোন রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ প্রচলিত নেই। বাহকের বিরুদ্ধে কীটনাশক প্রয়োগে কার্যকর ফল পাওয়া যায় না, কারণ এস. সাইট্রি বাগানে প্রবেশের পর খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
স্পাইরোপ্লাজমা সাইট্রি ব্যাকটেরিয়ার কারণে এসব লক্ষণ প্রকাশিত হয়, যা গাছের পরিবহন কলায় (ফ্লোয়েম) আবাস গড়ে তুলে এবং শর্করার প্রবাহে বাধা দেয়। পাতাফড়িং এর কতিপয় প্রজাতির দ্বারা এরা স্থায়ী ভিত্তিতে ছড়ায়। ব্যাকটেরিয়া বাহকের দেহে বংশবৃদ্ধি করে কিন্তু তাদের বংশধরে বাহিত হয় না। মূলতঃ মুখ্য উপায়ে অর্থাৎ পাতাফড়িং থেকে লেবু ফসলে জীবাণুর বিস্তার ঘটে। গাছ থেকে গাছে গৌণ সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত গ্রাফটিং এবং বাডিং-এর কারণে হয়। উষ্ণ প্রধান অঞ্চল এ রোগের জন্য অনুকুল, যেখানে এরা প্রাথমিকভাবে মিষ্টি কমলা, আঙুর এবং ট্যাঞ্জেলো গাছকে আক্রমণ করে। লক্ষণের তীব্রতা এসব লেবু ফসলের প্রজাতির মধ্যে ভিন্ন হতে পারে। পরিণত বাগানের চাইতে নতুন বাগানে এ রোগটি অধিকতর সমস্যার সৃষ্টি করে। প্রায়ই এ রোগটি নির্ণয় করা কঠিন বিশেষ করে রোগ বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে যখন লক্ষণগুলো অস্পষ্ট থাকে বা অন্য কোন অস্বাভাবিকতা উপস্থিত থাকে।