Pectobacterium atrosepticum
ব্যাকটেরিয়া
ব্ল্যাকলেগ সংক্রমণের ফলে প্রাথমিকভাবে উদ্ভিদের কাণ্ডের গোড়ায় জল-সিক্ত ক্ষতদাগের আবির্ভাব হয়। পরবর্তীতে ক্ষতগুলো একত্রিত ও কালো হয়ে কাণ্ডের উপরের দিকে ছড়িয়ে যায়। কাণ্ডের ভিতরের কোষকলা পচে কালো হয়ে যায় এবং উদ্ভিদের উপরের অংশে পর্যাপ্ত জল ও পুষ্টি সরবরাহে বাধা দেয়। সংক্রমিত কাণ্ডের পাতার কিনারা কুঁকড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নিস্তেজ হয়ে প্রথমে ক্লোরোফিল শূন্য এবং পরবর্তীতে বাদামী হয়ে যেতে পারে। উদ্ভিদ ঢলে পড়ে এবং টান দিলে সহজেই উঠে আসে। আলুর কন্দ সংক্রমণের স্থান থেকে ধীরে ধীরে পচে কালো হয়ে যেতে শুরু করে। রোগ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে সম্পূর্ণ কন্দ অথবা শুধু ভিতরের অংশটা নষ্ট হয়ে যায়।
ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কোনো জৈবিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্ভব নয়।
সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। জীবাণুর ছড়িয়ে পড়া কমাতে কপারের যৌগ ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এই যৌগগুলো মানুষের স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।
সাধারণত আক্রমনের পর অথবা সাথে সাথেই কন্দ পচে যাওয়ার মাধ্যমে রোগের উৎপত্তি শুরু হয়। পচে যাওয়ার জন্য আর্দ্র পরিবেশ উপযোগী হয়। কাদামাটি ও জলবদ্ধ জমিতে চারাগাছ রোপণ, ব্ল্যাকলেগ সংক্রমণের জন্য বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ। উদ্ভিদের পচা মূল অথবা মাটির কাছাকাছি থাকা মরা পাতার মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদের মধ্যে প্রবেশ করে। পোকামাকড়ের কামড়ে অথবা যন্ত্রপাতির আঘাতে কোনো ক্ষত সৃষ্টি হলে সেটাও জীবাণুর প্রবেশদ্বার রূপে কাজ করতে পারে।