Cotton Bunchy Top Virus
ভাইরাস
পাতার বোঁটা খাটো হয় এবং ধার বরাবর হালকা সবুজ লম্বাটে ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়। নীরোগ গাছের তুলনায় রোগাক্রান্ত গাছের পাতা চামড়ার মত এবং ভঙ্গুর হয়। ক্রমাগত রোগবৃদ্ধির লক্ষণের মধ্যে রয়েছে ছোট পাতা, ডালপালা খাটো হয়ে যাওয়া এবং খর্বাকৃতির বল। যদি প্রাথমিক পর্যায়ে (যেমন চারা অবস্থায়) সংক্রমণ ঘটে তাহলে সম্পূর্ণ গাছের বৃদ্ধি স্তিমিত হয়ে যায় এবং গাছ জবুথবু হয়ে পড়ে। মূল লোমশ এবং গাঢ় বাদামী (সাধারণত হালকা হলুদ থেকে বাদামী) রঙ ধারণ করে এবং শাখা মূলে ছোট গুটি দেখা যায়। আক্রান্ত গাছে কম সংখ্যক তুলার গুটি ধরে, যা শেষপর্যন্ত ফলন হ্রাস ঘটায়।
জাবপোকা দমনে শিকারী পোকা লেডিবার্ড, লেসউইং, সৈনিক বিটল ও পরবাসী বোলতা গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক নিয়ন্ত্রণ। মৃদু সংক্রমণের ক্ষেত্রে, কীটনাশক সাবানের দ্রবণ বা উদ্ভিজ্জ তেল ভিত্তিক দ্রবণ ব্যবহার করুন। আর্দ্র অবস্থায়, জাবপোকা ছত্রাকঘটিত রোগের প্রতি সংবেদনশীল হয়। আক্রান্ত গাছে শুধুমাত্র জল ছিটালেও জাবপোকা দূর করা যায়।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। জাবপোকার বিরূদ্ধে সাইপারমেথ্রিন বা ক্লোরোপাইরিফস সমৃদ্ধ কীটনাশক পত্রপল্লবে ছিটানো যায়। একাধিকবার প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন এড়াতে কীটনাশক পরিবর্তনের বিষয়টি মাথায় রাখুন।
তুলার ঝোপালো মাথা ভাইরাসের কারণে এ লক্ষণগুলো প্রকাশিত হয়। এরা শুধুমাত্র গাছের জীবিত কোষে বেঁচে থাকে। তুলার জাবপোকা এফিস গোসিপি এর কারণে অস্থায়ী ভিত্তিতে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। সংক্রমণ থেকে লক্ষণ প্রকাশ পর্যন্ত প্রায় ৩-৮ সপ্তাহ সময় নেয়। যে মাঠে জাবপোকার সংখ্যা বেশি সে মাঠের ঝুঁকি বেশি। সহযোগী গাছ বা পূর্ববর্তী মৌসুমের ফসলের পুনর্জাগরিত অংশ জাবপোকা ও রোগের ভাণ্ডার হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং নতুন মৌসুমে সংক্রমণের উৎস হিসেবে কাজ করে বলে এরা সমস্যার গোড়া হিসেবে বিবেচিত হয়। এ কারণে মুড়ি (পুনর্জাগরিত) গাছের চারপাশে সংক্রমিত গাছের উপস্থিতি অস্বাভাবিক নয়। জাবপোকার বংশবৃদ্ধি, খাদ্য ও বিস্তারের জন্য উপযোগী আবহাওয়ায় রোগের বিস্তার আনুকূল্য পায়।