CCDV
ভাইরাস
কচি পাতার ডগার নিকটে একপাশে বা উভয়পাশে ইংরেজি ভি (V) আকৃতির খাঁজ দেখা যায় এবং ক্রমশ নিচের দিকে বাঁকা হয়ে যেতে দেখা যায়। বয়স্ক পাতা খর্বাকৃতি এবং কুঞ্চিত হয়। বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বিকৃতি দেখা যায়, যার মধ্যে রয়েছে কুঞ্চিত হয়ে যাওয়া, মোড়ানো বা উল্টো কাপ আকৃতির (ছোট নৌকার আকৃতি) হয়ে যাওয়া। হলুদাভ ডোরা দাগ বা পাতার কোষকলার বিচিত্র রঙ ধারণ খুবই স্বাভাবিক এবং রোগ পরম্পরায় মূলতঃ পুষ্টি উপাদানের অভাবে এমনটা হয়। দুই নোডের মধ্যবর্তী স্থান খাটো হয়ে যাওয়ায় সংক্রমিত চারাগাছ ঝোপালো ও খর্বাকৃতির দেখা যায়। বয়স্ক গাছের পত্রপল্লবের শুধুমাত্র একটা অংশেও এ লক্ষণ প্রকাশিত হতে পারে এবং প্রাথমিক বা গৌণ সংক্রমণের ৫ থেকে ৮ সপ্তাহ পরেও লক্ষণ প্রকাশিত হতে পারে। ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এ লক্ষণগুলোর বিকাশ দেখা যেতে পারে এবং ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তা প্রকট হয়।
দুঃখিত, লেবু ফসলের হলুদ এবং গাছ খাটো হয়ে যাওয়া ভাইরাসের সংক্রমণ বা তীব্রতা হ্রাসে কোন জৈবিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আমাদের জানা নেই। যদি আপনারা এ ব্যাপারে কিছু জানেন, তবে এই রোগ দমনে অনুগ্রহ করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনাদের কাছ থেকে জানার জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি।
সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। ভাইরাস ঘটিত রোগ রাসায়নিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বে-বেরী সাদা মাছি দমন করতে অ্যাসিটামিপ্রিড, বুপ্রোফেজিন ও পাইরিপ্রোক্সিফেন সমৃদ্ধ সক্রিয় উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে।
লেবু ফসলের হলুদ এবং গাছ খাটো হয়ে যাওয়া ভাইরাসের কারণে এ লক্ষণগুলো প্রকাশিত হয়। সংক্রমণের প্রথম বছরে, গাছে স্বাভাবিকভাবে ফুল এবং ফল ধরতে পারে, কিন্তু পরবর্তী বছরগুলোতে ফুল ও ফল ধারণ উভয়ই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পায়। যা গাছের জীবনীশক্তি হ্রাস পাওয়াকে নির্দেশ করে। একে মূলতঃ গ্রাফটিং এর মাধ্যমে বিস্তৃত রোগ বলে ধারণা করা হত। কিন্তু একে বাহক পোকা বেবেরি সাদামাছির (প্যারাবেমিসিয়া মাইরিসি) মাধ্যমে দ্রুত এবং বিস্তৃতভাবে ছড়াতে দেখা গেছে। লেবু জাতীয় ফসলের কিছু প্রজাতির মারাত্মক রোগ হিসেবে একে বিবেচনা করা হয়। ফলের আকার এবং সংখ্যার হ্রাসের কারণে এ রোগে মাঝে মাঝে তীব্র ক্ষতি (আঙ্গুরে ৫০ শতাংশ) হয়। কিছু জাতের ক্ষেত্রে (মিষ্টি কমলা) এ রোগের বিরুদ্ধে কিছুটা সহনশীলতা অর্জন করতে দেখা যায় কিন্তু কোন লক্ষণ প্রকাশ না করা সংক্রমিত গাছও সংক্রমণের উৎস হিসেবে কাজ করতে পারে।