GLD
ভাইরাস
বিভিন্ন প্রকার আঙ্গুরের জাত কতটা ভাইরাসের প্রতি সংবেদনশীল লক্ষণসমূহ অনেকাংশে তার ওপর নির্ভর করে। গ্রীষ্মের শেষের দিকে সবচেয়ে বেশি লক্ষণ দেখা যায় । লাল জাতের আঙ্গুরের ক্ষেত্রে শিরা ব্যতীত পাতার কলা লাল বা রক্তবর্ণের ন্যায় দেখায় এবং পাতার কিনারা কুঁচকে গিয়ে কাপের আকৃতি গঠন করে । সাদা জাতের আঙ্গুরের ক্ষেত্রে পাতা হলুদ হয়ে যায় এবং কিনারা কুঁচকে গিয়ে কাপের আকৃতি ধারন করে । যদিও কোন কোন ক্ষেত্রে পুরো পাতার কলা বিবর্ণ হয়, তবুও সাধারণত পাতার প্রধান শিরা সবুজ থাকে । গাছের বৃদ্ধি কমে যায় এবং কাণ্ডপর্ব, পাতা ও পত্রপল্লব খাটো হয় । সারা বছর রোগের প্রাদুর্ভাব থাকলে ফল পাকতে দেরি হয় এবং ফসল সমানভাবে পাকে না । ফল বিবর্ণ হয় এবং চিনির পরিমাণ হ্রাস পায়, যার ফলশ্রুতিতে ফল বেশি টক হয় । সারা বৎসর আক্রমণ হলে আঙ্গুর গাছের জীবন কাল হ্রাস পায় এবং নিশ্চিতভাবে ফলন কমিয়ে দেয় । সারা পৃথিবীজুড়ে এটি আঙ্গুরের জন্য একটি মারাত্মক রোগ বলে পরিচিত ।
দুঃখিত, এখনো পর্যন্ত এ পোকার বিরুদ্ধে কার্যকরী কোন জৈবিক দমন ব্যবস্থা জানা যায়নি । এ ব্যাপারে আপনার কোন বিষয় জানা থাকলে জানানোর অনুরোধ রইলো ।
ভাইরাসজনিত রোগ দমনে রাসায়নিক উপাদানের কোন কার্যকারিতা নেই । মৌসুমের যেকোনো সময়ে মিলিবাগ দমনে ফোঁটায় ফোঁটায় সেচের মাধ্যমে কীটনাশক দিতে হবে । যেসব জমিতে ফোটায় ফোটায় সেচের ব্যবস্থা নেই গাছের প্রধান শাখা ও স্কন্ধে এসিটামিপ্রিড সংমিশ্রিত কীটনাশক ছিটিয়ে দিতে হবে । মিলিবাগ ও স্কেল পোকা দমনে অন্যান্য জৈবিক কৌশল ব্যবহার করা যায় ।
দশ ধরনের বিভিন্ন প্রকার ভাইরাস আঙ্গুরের পাতা মোড়ানো রোগের জন্য দায়ী যা একত্রে আঙ্গুরের পাতা মোড়ানো অনুষঙ্গী ভাইরাস নামে পরিচিত । রোগাক্রান্ত গাছের অঙ্গজ প্রজনন এ রোগ পরিবহন করে এবং গ্রাফটিং এর মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়িয়ে পড়ে । এছাড়া দু’ধরনের পতঙ্গ মিলিবাগ ও স্কেল পোকা স্থানীয়ভাবে এ ভাইরাস আঙ্গুর বাগানে ছড়ায় । যতদূর জানা যায় যান্ত্রিক উপায়ে, যেমন যন্ত্র বা ফল সংগ্রাহক দ্বারা এ ভাইরাসের আগমন ঘটে না । ফসফরাস ও পটাশিয়ামের অভাব জনিত লক্ষণও এ রোগের জন্য দায়ী । সুতরাং ব্যবস্থাপনা সিদ্ধান্তের ওপর এ রোগের আক্রমণ অনেকাংশে নির্ভর করে ।