লেবু জাতীয় ফসল

লেবু ফসলের ট্রিস্টেজা ভাইরাস

CTV

ভাইরাস

5 mins to read

সংক্ষেপে

  • কাণ্ডে গর্ত সৃষ্টি হয়।
  • পত্রপল্লব হলুদ হয়ে যায় এবং গাছের স্বাভাবিক হ্রাস ঘটে।

এখানেও পাওয়া যেতে পারে

1 বিবিধ ফসল

লেবু জাতীয় ফসল

উপসর্গ

লেবু ফসলের ট্রিস্টেজা ভাইরাসের লক্ষণগুলো অনেকাংশে ভিন্ন হয় এবং আবাস, নির্দিষ্ট ভাইরাসের আগ্রাসী তীব্রতা এবং পরিবেশগত অবস্থাসহ কতিপয় বিষয়ের উপর নির্ভর করে। তিনটি প্রধান লক্ষণ হল গাছের ক্ষয়প্রাপ্তি, কাণ্ডে গর্ত সৃষ্টি হওয়া এবং পাতা হলুদ হয়ে যাওয়া। ক্ষয়প্রাপ্তি বলতে বুঝায় পাতার হলুদ হয়ে যাওয়া এবং সংক্রমিত গাছের শীর্ষ থেকে ক্রমান্বয়ে মারা যাওয়া। এ প্রক্রিয়া ধীর হয়ে থাকে, প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যাওয়ার কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। আবার প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দেওয়ার কয়েকদিনের মাঝেও সংক্রমিত গাছটি মারা যেতে পারে। সংবেদনশীল গাছের কাণ্ড ও ডালপালায় উভয়েই বহু সংখ্যক গর্ত দেখা যায়। কিছু প্রজাতির গাছে ফলের খোসায় তৈলাক্ত দাগ বা আঠাযুক্ত বাদামী দাগ দেখা যায়।

Recommendations

জৈব নিয়ন্ত্রণ

পরবাসী বোলতা বা গল মাছি নিয়ে মাঠ পরীক্ষা চলছে, যারা লেবু ফসলের বাগানে প্রাকৃতিকভাবে কিছু জাবপোকা দমন করতে পারবে। জাবপোকার সংখ্যা দমনে বাণিজ্যিকভাবে সুলভ রাসায়নিক (প্রাকৃতিক পাইরেথ্রাম, ফ্যাটি এসিড), কীটনাশক সাবান বা উদ্যান ফসলজাত তেল (গাছের তেল বা মাছের তেল) ব্যবহার করা যায়। জল ও কয়েকফোটা ডিটারজেন্ট এর মৃদু দ্রবণ পাতায় স্প্রে করে জাবপোকা নিশ্চিহ্ন করে ফেলা যায়।

রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ

সম্ভবমতো সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনার আওতায় জৈবিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সর্বদা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিন। ভাইরাসকে রাসায়নিক দ্বারা সরাসরি দমন করা যায় না। জাবপোকার জন্য ডাটাবেস খুঁজে সম্ভাব্য রাসায়নিক দমন নিশ্চিত করুন।

এটা কি কারণে হয়েছে

লেবু ফসলের ট্রিস্টেজা ভাইরাসের কারণে এসব লক্ষণ প্রকাশিত হয়, যা লেবু ফসলের বাগানের জন্য খুবই মারাত্মক এবং বিধ্বংসী। লেবু ফসলের কালো জাবপোকা টক্সোপটেরা সাইট্রিসিডা দ্বারা অস্থায়ীভাবে এটি ছড়ায়। ৫-৬০ মিনিট ধরে গাছের রস শুষে খাবার সময় জাবপোকা এ ভাইরাস গ্রহণ করে কিন্তু ২৪ ঘন্টা পরে সে এ রোগ বিস্তারের ক্ষমতা হারায়। এ পরিবারের অন্যান্য পোকামাকড়ও (যেমন- তুলার জাব পোকা, এফিস গসিপি) এ ভাইরাস বিস্তারে অবদান রাখতে পারে। সংক্রমিত গাছের অঙ্গের সাথে গ্রাফটিং করার মাধ্যমেও এক বাগান থেকে অন্য বাগানে ভাইরাসের বিস্তার ঘটতে পারে। ভাইরাসের আগ্রাসী তৎপরতার উপর রোগের তীব্রতা নির্ভর করে। কয়েকধরণের ভাইরাস উল্লেখযোগ্য কোন লক্ষণ প্রকাশ করে না। অন্য কয়েক ধরণের ভাইরাস গাছের মারাত্মক ক্ষতি করে, এমনকি মেরে ফেলে কিংবা কাণ্ড ও ডালে গভীর গর্ত সৃষ্টি করে। ভাইরাসের সংক্রমণ ও বংশবৃদ্ধির জন্য অত্যানুকুল তাপমাত্রা হল ২০-২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • আপনার এলাকায় রোগের বিস্তার রোধে সঙ্গনিরোধ আইন মেনে চলুন।
  • প্রত্যয়িত উৎস থেকে প্রাপ্ত রোপন সামগ্রী ব্যবহার করুন।
  • রোগ প্রতিরোধী জাত ব্যবহার করুন (কিছু হাইব্রিড প্রজাতি এ ভাইরাস সহনশীল হয়)।
  • নার্সারী এবং গ্রীণহাউসগুলো বাহক পোকামুক্ত রাখুন।
  • সন্দেহজনক কিছু এক বাগান থেকে অন্য বাগানে পরিবহণ করবেন না।
  • রোগের লক্ষণ প্রকাশিত হয়েছে কিনা দেখার জন্য বাগান নিয়মিত নিরীক্ষা করুন।
  • এ রোগের লক্ষণসমূহ এবং বিস্তারকারী পোকা চেনার ব্যাপারে নিশ্চিত হোন।
  • সংক্রমিত গাছ দূর করে ধ্বংস করুন।
  • অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আপনার পছন্দের ফসল জাবপোকামুক্ত রাখতে সাথী ফসলের চাষ করুন।

প্ল্যান্টিক্স অ্যাপসকে ডাউনলোড করুন